X
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় আমনের বাম্পার ফলন, লাভের আশা কৃষকের

কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া
২০ নভেম্বর ২০২০, ১৯:৫৭আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২০, ১৯:৫৭

ধানক্ষেত কুষ্টিয়ায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে অনেক চাষি তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলেছেন। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকরা এবার ধান চাষে লাভের মুখ দেখার আশা করছেন। তাই সোনালি আমনের মৌ মৌ গন্ধে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব মতে, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়া জেলায় ৮৮ হাজার ৮৬২ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর গ্রামের ধান চাষি চাঁদ আলী বাদশা বলেন, ‘এবার ১৫ কাঠা জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছিলাম। সব মিলিয়ে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি, এবার ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।’

ধান কেটে রাখা হয়েছে চিথলিয়া গ্রামের চাষি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর দুই বিঘা জমিতে ধান চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি গড়ে ২০ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। তবে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারলে ন্যায্যমূল্য পাবো বলে আশা করছি।’

দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামের কৃষক নজিবুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে ধান চাষে এবার লাভের আশা করছি।’

মিরপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের চাষি মোহাম্মদ জিন্নাহ আলী বলেন, ‘এ বছর আমি সাড়ে ছয় বিঘা জমিতে রোপা আমনের আবাদ করেছিলাম। ধানের ভালো ফলন পেয়েছি। এখন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে। বর্তমানে ধানের যে বাজার চলছে আশা করছি,  দাম ভালো হবে।’

ধানক্ষেত দৌলতপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সজিব আল মারুফ বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করবে। এ ক্ষেত্রে তারা ধানের ন্যায্য মূল্যও পাবে।’

মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্র ধান চাষের অনুকূলে ছিল এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম ছিল। এ কারণে ধানের ফলন অনেক বেশি হবে। এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ ভাগ জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, গড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৫ টন ধান কৃষক পাচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের নির্ধারিত মূল্য এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকা। এই মূল্যে যদি কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারেন, তাহলে অনেক লাভবান হবেন। আমরা কৃষকদের সার্বক্ষণিক বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, ভবিষ্যতেও কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহী হবেন।’

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শ্রমজীবী মানুষের জন্য আলাদা বাজেটের দাবি
শ্রমজীবী মানুষের জন্য আলাদা বাজেটের দাবি
স্বাস্থ্য সহকারী পদে লিখিত পাস করে মৌখিকে প্রক্সি দিতে এসে ধরা
স্বাস্থ্য সহকারী পদে লিখিত পাস করে মৌখিকে প্রক্সি দিতে এসে ধরা
একক নয়, বাকশাল ছিল একটি জাতীয় দল: ওবায়দুল কাদের
একক নয়, বাকশাল ছিল একটি জাতীয় দল: ওবায়দুল কাদের
চীন সফর: শি’র মন জয়ের চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন পুতিন
চীন সফর: শি’র মন জয়ের চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন পুতিন
সর্বাধিক পঠিত
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
দাম কমেছে সবজি-মাংসের, তবু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক
দাম কমেছে সবজি-মাংসের, তবু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের