বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য অর্থ বরাদ্দের ঘোষণার পরও আস্থাহীনতা এবংআন্দোলনরত শ্রমিক ও সরকার সমর্থক শ্রমিক নেতাদের সমন্বয়হীনতার কারণে খুলনা-যশোর অঞ্চলের পাটকলগুলোয় ধর্মঘট ও রাজপথ-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। ৫ দফা দাবিতে শ্রমিকরা আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) নবম দিনের মতো ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি ১২ ঘণ্টা রাজপথ-রেলপথ অবরোধ পালন করছেন। এরই মধ্যে আজ দুই সপ্তাহের বকেয়া বিল দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বিকালে পাট মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে খুলনা ও যশোরের সিবিএ নেতারা অংশ নেননি। আজ বিকালে সিবিএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে পর কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার পাট মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী খুলনা যশোর অঞ্চলের আন্দলনকারী ৭ পাটকলের সিবিএ নেতাদের বাদ দিয়ে পাটকল শ্রমিক লীগ ও ঢাকা, চট্রগ্রাম অঞ্চলের পাটকলের সিবিএ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। এর ফলে আন্দোলন অব্যহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার খুলনা- যশোর অঞ্চলের সিবিএ নেতারা পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। বৈঠকের পর আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পাটকল সংগ্রাম পষিদের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রমিক নেতা হাফিজুর রহমান ভুইঞা বলেন, ঐক্য পরিষদের ডাকে ৫ দফা দাবিতে শ্রমিকদের টানা মিল ধর্মঘটের পাশাপাশি রাজপথ-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির ফসল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে কলঙ্কিত করছে।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনরতদের বাদ দিয়ে আন্দোলনের বাইরের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে। প্রধানমন্ত্রীর অর্জন পাটমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ করছেন।’
আরও পড়তে পারেন
পাটকল শ্রমিকলীগ খুলনা যশোর আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক মো: মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা আন্দোলনে সম্পৃক্ত না থাকলেও বিরোধী নই। অবশ্যই শ্রমিকদের ন্যায় দাবি বাস্তবায়নের পক্ষে। তবেসরকারের সীমাবদ্ধতাও মাথায় রাখতে হবে। সরকার অর্থ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অর্থ পাওয়া যায় না। এজন্য সময় প্রয়োজন।’
রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের ডাকে অবরোধ কর্মসূচি বুধবার ভোর ৬টা থেকে খুলনা ও যশোরের ৩টি পয়েন্ট শুরু হয়। মিলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ করে শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
শ্রমিকরা স্ব স্ব মিল গেটে সমবেত হয়ে সভা করেছেন। সভাশেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শ্রমিকরা খুলনা-যশোর মহাসড়কে নতুন রাস্তা, আটরা ও রাজঘাট এলাকায় রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করেন।
শ্রমিক নেতা মো. শাহ আলম বলেন, ‘আন্দোলনরত শ্রমিক নেতাদের বাদ দিয়ে অন্য কারও সঙ্গে আলোচনা পাঁচ দফা দাবির সমাধান হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত এক হাজার কোটি টাকার অর্থ সহায়তা বাস্তবায়ন আন্দোলন বর্হিভুতদের দিয়ে হতে পারে না।’
আরও পড়তে পারেন
/এসটি/