X
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

স্কুল যেতে পার হতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৪৩আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৫৮

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুল যাচ্ছে শিশুরা

জয়পুরহাট সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নদী পার হয়েই স্কুল। সেই স্কুলেই পড়তে আসে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাইকপাড়া, গোবিন্দপুর, গঙ্গাদাসপুর ও কড়ই মালোপাড়ার শিশু শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন নদী পেরিয়ে আসতে হয় তাদের। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে স্কুলে যাতায়াত করলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। পারাপারের জন্য স্থানীয়রা সেখানে বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছে সাঁকো। আর সেই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। খরার সময় বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করা গেলেও বর্ষায় ঝুঁকি বেশি থাকায় স্কুলে যায় না  শিক্ষার্থীরা।

মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৭০ সালে। তুলশীগঙ্গা নদীর কোল ঘেঁষে পূর্ব তীরে অবস্থান স্কুলটির। স্কুলের উভয় পাশের ৮ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক শিশু পড়তে আসে এলাকার একমাত্র স্কুলটিতে। আমদই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহানুর আলম বলেন, খরার সময় বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনও রকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় প্রায় ৭ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। তাই এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা খুবই জরুরি।

পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সৈকত জানান, স্বাধীনতার পর এসব গ্রামে জনবসতি গড়ে ওঠে। সেই থেকে তারা নিজ উদ্যোগে নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়ায় করছে। গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীরাও কষ্ট করে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে।

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুল যাচ্ছে শিশুরা

মুরারীপুর গ্রামের গৃহবধু স্বপ্না বেগম ও কোহিনুর বেগম জানান, বর্ষায় তাদের ছেলে-মেয়েরা নদী পার হয়ে স্কুলে আসতে পারে না। অনেক সময় নদীতে পরেও যায়। ফেরদৌস ও রায়হান নামের দুই অভিভাবক বলেন, সেতুর জন্য বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্যকেও জানানো হয়েছে। উনি দেখতে আসবেন বলে জানিয়েও আর আসেননি।

মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরভী আক্তার বলে, বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে আসতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। পা পিছলে পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। চতুর্থ শ্রেণির ফারজানা ও পঞ্চম শ্রেণির শফিকুল ইসলাম জানায়, সাঁকো পার হতে তাদের ভয় লাগে। বর্ষার সময় তারা স্কুলেই আসে না।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, সেতু নির্মাণের বিষয়টি উর্দ্ধতন মহলে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সেতুটি নির্মাণের ব্যবস্থা হবে।

/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আদালতে সাবেক এমপি দুর্জয়কে ডিম নিক্ষেপ, চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
আদালতে সাবেক এমপি দুর্জয়কে ডিম নিক্ষেপ, চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বেবিচকের চেয়ারম্যান মোস্তফা মাহমুদের যোগদান
বেবিচকের চেয়ারম্যান মোস্তফা মাহমুদের যোগদান
সাবেক এমপি শম্ভুর ৩৩ বিঘা জমি জব্দ, ১৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাবেক এমপি শম্ভুর ৩৩ বিঘা জমি জব্দ, ১৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
আইজিপি’র সঙ্গে ইউনেস্কো প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
আইজিপি’র সঙ্গে ইউনেস্কো প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
সর্বাধিক পঠিত
নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
সংযুক্ত কর্মচারী প‌রিষ‌দের জরু‌রি সভানবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
‘দেশের ৩২টি বিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে’
‘দেশের ৩২টি বিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে’