X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১
দুই কৃষকের আত্মহত্যা

বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের জিম্মি করে টাকা নেন নলকূপ অপারেটররা

দুলাল আবদুল্লাহ, রাজশাহী
৩০ মার্চ ২০২২, ২১:৫৬আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২২, ২১:৫৬

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি না পেয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দুই কৃষক কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কৃষকদের অভিযোগ, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) অপারেটর জমিতে চাহিদামতো পানি না দেওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন দুই কৃষক।

তারা হলেন গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের নিমঘুটু গ্রামের মৃত বাবুচাঁদ মারান্ডির ছেলে অভিনাথ মারান্ডি (৩৬) ও তার চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি (২৭)। পানির জন্য তাদের মৃত্যুর ঘটনা এই অঞ্চলে প্রথম বলে দাবি করেছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকদের দাবি, বিএমডিএ’র গভীর নলকূপের অপারেটররা কৃষকদের জিম্মি করে বোরো ধান চাষের জন্য বিঘাপ্রতি দেড় থেকে তিন হাজার টাকা নিচ্ছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুই হাজার টাকার ওপরে নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের টাকা দিতে বাধ্য করছেন অপারেটররা। টাকা না দিলে জমিতে পানি দেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন তারা। ফলে জমির ধান বাঁচাতে ধারদেনা করে টাকা তুলে দিচ্ছেন অপারেটরদের হাতে। আবার নলকূপ চালানোর জন্য প্রিপেইড মিটারে কার্ড কিনে জমিতে পানি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে কৃষকদের। কার্ডের মাধ্যমেও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে তাদের। ফলে ধান চাষ করে বেকায়দায় পড়েছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা।

এদিকে, দুই কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ২৭ মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং) মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলুকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক, নাটোর বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং নওগাঁ বিএমডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সমশের আলীকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলুর নেতৃত্বে অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মৃত দুই কৃষকের পরিবার, স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা।

আরও পড়ুন: ধানক্ষেতে দুই কৃষকের কীটনাশক পান, একজনের মৃত্যু

মৃত অভিনাথ মারান্ডির চাচাতো ভাই বাপ্পি মারান্ডি বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আমাদের কাছে সেদিনের ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। আমি সেদিন গভীর নলকূপের পশ্চিম পাশ দিয়ে আসছিলাম। পথিমধ্যে নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত গাড়ি থামিয়ে আমাকে অভিনাথকে নিয়ে যেতে বলেন। অভিনাথ কীটনাশক পান করেছেন এটাও সাখাওয়াত বলেছেন। তবে খুব তাড়া থাকায় আমি তাকে নিতে চাইনি। তখন সাখাওয়াত অনুরোধ করে নিয়ে যেতে বলেন। সেসময় অভিনাথকে জিজ্ঞেস করি, কি হয়েছে? তখন অভিনাথ বলেছেন, ‘মনের দুঃখে বিষ খেয়েছি।’

তদন্ত কমিটির সদস্যরা অভিনাথের স্ত্রী রোজিনা হেমব্রনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও পারেননি। তবে অভিনাথের ভাবি পার্বতী সরেন তদন্ত কমিটিকে জানান, ‘সকালে বাড়ির নারীরা আলু তোলার কাজে বের হচ্ছিলেন। তখন রবি ও অভিনাথ তাদের জানান, ১০-১২ দিন ঘুরেও পানি পাচ্ছেন না। ২১ মার্চ জমিতে পানি দেওয়ার কথা। তারা পানি দিতে যাচ্ছেন। বিকালে যখন আলু তুলছিলেন, তখন শোনেন পানি না দেওয়ায় রবি ও অভিনাথ কীটনাশক পান করেছেন। পানির জন্য কৃষকদের দিনের পর দিন ঘুরিয়েছেন নলকূপের অপারেটর। সেজন্য ক্ষোভে-দুঃখে বিষপান করেন তারা।’

মৃত দুই কৃষকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা

তদন্ত কমিটির সদস্যরা স্থানীয় কৃষক মহেশ্বর মুরমুর সঙ্গেও কথা বলেছেন। মহেশ্বর মুরমু তদন্ত কমিটিকে জানান, ‘তারা পানির জন্য দিনের পর দিন ঘুরেও সময়মতো পান না। কিন্তু অন্য প্রভাবশালীরা সাখাওয়াতকে ফোন করলেই পানি দেন। এই মৌসুমে তার জমির পানিও শুকিয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে।’

তদন্ত কমিটির সঙ্গে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরিফুল হক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘দুই কৃষকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে সেচের পানি না পাওয়ার বিষয় আছে কিনা তা তদন্তের জন্য কমিটি করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলুর নেতৃত্বে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গেও কথা বলেছি।’

আরও পড়ুন: ধানক্ষেতে দুই কৃষকের কীটনাশক পান: আরও একজনের মৃত্যু 

তিনি আরও বলেন, ‘দুই কৃষক কীটনাশক খেয়েছেন কিনা তা মেডিক্যাল প্রতিবেদন আসার পর জানা যাবে। তবে সেচের কারণে এমনটি ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছি আমরা। বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষাবাদে কৃষকদের পানির সমস্যা নেই, এটা বলা যাবে না। তবে এখানে অপারেটরের অনিয়ম থাকলে তদন্ত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে।’

তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু বলেন, ‘তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। আমার হাতে এখনও ছয় দিন সময় আছে। দুই জনের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী হলে অবশ্যই সেটি তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’

এদিকে, অভিনাথ মারান্ডি ও রবি মারান্ডির মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা অস্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। পানি দিতে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অপারেটরের টাকা নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন কৃষকরা। এ বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও তার সমাধান হয় না বলে অভিযোগ কৃষকদের।

বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা বলছেন, বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ অপারেটরদের কাছে তারা জিম্মি। একেকজন কৃষকের কাছে একেক রকম বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে টাকা নেন অপারেটররা। অপারেটরদের অধিকাংশই স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী। এ কারণে কেউ প্রতিবাদের সাহস পান না। প্রতিবাদ করলে খেসারত দিতে হয় তাদের।

কৃষকদের দাবি, বরেন্দ্র এলাকায় সমিতিভিত্তিক যে গভীর নলকূপগুলো আছে, তা স্থাপনে অপারেটরদের ভূমিকা থাকে। এ কারণে কৃষকদের থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে দুর্ভোগে ফেলেন তারা। বোরো মৌসুমে যখন খরা দেখা দেয় তখন কেউ দিনের পর দিন ঘুরেও পানি পান না। আবার কেউ ঘরে বসেও পানি পান। যেখানে কার্ড সিস্টেমে প্রি-পেমেন্টের মাধ্যমে পানি নেওয়া হয় সেখানেও অপারেটরদের কৌশল থাকে। অনেক জায়গায় অপারেটরের কার্ড ছাড়া অন্যের কার্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।

গোদাগাড়ীতে ধান চাষ করতে বিঘাপ্রতি ২৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে কৃষকদের। যা দুই-তিন বছর আগেও ছিল দেড় হাজার টাকা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কৃষকরা চুক্তি অনুযায়ী বিঘাপ্রতি টাকা দিচ্ছেন। আবার কোনও কোনও নলকূপের অপারেটর কৃষকদের দিয়ে প্রিপেইড মিটারের কার্ড কিনতে বাধ্য করছেন। কার্ড দিয়ে ঘণ্টাপ্রতি ২৮০-৩০০ টাকা পর্যন্ত কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে বিঘাপ্রতি তিন হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। তবে যাদের নিচু জমি, পানির প্রয়োজন কম, সেক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে।

গোদাগাড়ীর ঈশ্বরীপুর এলাকার কৃষক আমির হাসদা বলেন, ‘একবিঘা জমিতে ধান চাষ করতে শুধু সেচ দিতে তিন হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এই টাকা অধিকাংশ কৃষক দিতে পারছেন না। কারণ ধানের জমিতে সার-কীটনাশক দিতে হয়। সেগুলো দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। এর মধ্যে সেচের টাকা দিতে গিয়ে প্রায় মারা যাচ্ছেন কৃষক। যে কৃষক টাকা দিতে পারছেন না, তার জমিতে পানি দেওয়া হয় না।’

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা

তিনি আরও বলেন, ‘টাকা দিলেও সময়মতো পানি দেন না অপারেটররা। একটি গভীর নলকূপের আওতায় ৪০০-৫০০ বিঘা জমিতে পানি দেওয়া যায়। কিন্তু তার চেয়েও দুই-তিনগুণ বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। ফলে অপারেটর সাখাওয়াত ইচ্ছামতো পানি দেন। এজন্য পানি না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন দুই কৃষক। ওই দুই কৃষক জমির ধান বাঁচাতে পানির জন্য প্রাণ দিয়েছেন। এটি দেশের ইতিহাসে প্রথম।’

তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এলাকার অপারেটর আব্দুল গণি বিঘাপ্রতি ধান চাষের জন্য দুই হাজার টাকা আদায় করছেন। এই এলাকার সবগুলো গভীর নলকূপের অপারেটররা একই হারে টাকা নিচ্ছেন। টাকা কয়েক কিস্তিতে নেওয়া হয়। ধান ওঠার আগেই টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন কৃষকরা। তাদের জমিতে ঠিকমতো পানি দিচ্ছেন না অপারেটররা।’

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে দুই কৃষকের মৃত্যু: ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি 

একই এলাকার কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘ধানের জমিতে পানি দিতে অনেকে ধারদেনায় জর্জরিত। কেউ কেউ সুদের ওপর টাকা নিয়ে অপারেটরের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এরপরও জমির ধান বাঁচাতে পারছেন না। ফলে প্রাণ দিচ্ছেন কৃষকরা।’

দুর্গাপুরের নওপাড়া এলাকার কৃষক মাজেদুর রহমান বলেন, ‘এই এলাকার সবগুলো নলকূপের অপারেটররা বিঘাপ্রতি দুই হাজার থেকে ২২০০ টাকা নিচ্ছেন। যা গত বছরও ছিল ১৫০০ টাকা। এতে ধান চাষ করতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে আমাদের।’

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ অপারেটরদের এই দৌরাত্ম্যের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘বাড়তি অর্থ আদায়সহ কৃষকদের জিম্মি করার সত্যত্যা রয়েছে। তবে আমরা অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিই। কৃষকরা সচেতন থাকলে ঠকানো সম্ভব হতো না। অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কিছু অপারেটরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অভিযোগ বিবেচনায় অনেককে শাসন করাও হয়েছে। মাঠপর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সভা-সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সচেতন কৃষকরা মাঝেমধ্যে ফোন করে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে অনেক কৃষক হয়তো আমাদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তাদের সচেতনতামূলক বার্তা পাঠাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে অভিযোগ পেলেই আমরা অপারেটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেবো।

/এএম/
সম্পর্কিত
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
রাজধানীর ফুটপাত থেকে অজ্ঞাতনামা বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
বিখ্যাত চমচমের কারিগর শংকর সাহা মারা গেছেন
সর্বশেষ খবর
তামাকে বিষ, তবুও ঝুঁকছেন কৃষক 
তামাকে বিষ, তবুও ঝুঁকছেন কৃষক 
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা বিলে ভোট আজ
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা বিলে ভোট আজ
ড্রোন হামলার কথা অস্বীকার করলো ইরান, তদন্ত চলছে
ড্রোন হামলার কথা অস্বীকার করলো ইরান, তদন্ত চলছে
শিল্পী সমিতির নির্বাচন, মিশা-ডিপজলে কুপোকাত কলি-নিপুণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন, মিশা-ডিপজলে কুপোকাত কলি-নিপুণ
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা