নাটোরের সিংড়া উপজেলায় নববধূ ও এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ মে) সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃতরা হলেন—উপজেলার বামিহাল দশোপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে আলো খাতুন (১৮) এবং নাজিরপুর ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম (৩৭)।
জানা গেছে, এবার বামিহাল রহমত ইকবাল অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন আলো খাতুন। গত ৪ মে রাজশাহী পুঠিয়ার ঝলমলিয়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
আলোর ভগ্নিপতি জুলহাস বলেন, ‘আজ দশোপাড়া গ্রামে মেলা বসার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে আলোর মা জামাইকে দাওয়াত করতে চান। কিন্তু জামাই তার পছন্দ ছিল না। এ কারণে মাকে বলে, জামাইকে যেন দাওয়াত না দেওয়া হয়। এ নিয়ে আলোকে বকাঝকা করেন মামা। এতে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।'
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ আলম সিদ্দিকী জানান, ঈদুল ফিতরের পরদিন আলো খাতুনের মতামত উপেক্ষা করে বিয়ে দেওয়া হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। বিয়ের পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতেই ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ঘরে আলোকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে সকালে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, মঙ্গলবার বিকালে ভ্যান নিয়ে বের হওয়ার পার রাতে বাড়ি না ফেরেননি আব্দুর রহিম। বিভিন্ন স্থানে তার খোঁজ করতে থাকেন স্বজনরা। এক পর্যায়ে নাজিরপুর নতুনপাড়া আবেদ হাজীর ভুট্টার ক্ষেতে লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে কেউ হত্যা করে জমিতে ফেলে গেছে। তদন্তের পরই বিস্তারিত বলা যাবে।