নাটোরে পৃথক দুর্ঘটনায় নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন এবং সাপের কামড়ে এক নারী মারা যান বলে জানা গেছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের মৌ গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মো. সোরওয়ার্দী হোসেন (২৮) ও লালপুর উপজেলার নান্দ গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫)। এ সাপের কামড়ে মারা যান একই উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাঝগ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী আয়েশা (২৬)।
নিহত সোরওয়ার্দীর বন্ধু আল আমিন জানান, জয়পুরহাট জেলায় একটি ফিড কোম্পানিতে চাকরি করতেন সোরওয়ার্দী। গত ৭-৮ মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। গত বৃহস্পতিবার জয়পুরহাট থেকে বাড়ি এসে শনিবার সকালে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। পথে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে তার মোটরসাইকেলের সঙ্গে একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
লালপুর উপজেলার মাঝগ্রামের জাকির হোসেন জানান, গত রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন আয়েশা। রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় এক বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। ঘুম থেকে জেগে চিৎকার শুরু করলে বাড়ির সদস্যরা তাকে নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, নাটোর ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান জানান, শরিফুল ও একই এলাকার ইউনুসের ছেলে ইকবাল (৪০) নাটোর শহরে কাজ সেরে শনিবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর সদর উপজেলার গাজীর বিল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ি তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুলের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত ইকবালকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।