রাজশাহীতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হাট ইজারার টেন্ডার বাক্স লুটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দিনদুপুরে প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটলেও মামলার এজাহারে কোনও আসামির নাম নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় জানিয়েছে, পবা উপজেলার ১২টি হাট ইজারা দিতে গত ১৫ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সোমবার ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। টেন্ডার বাক্স রাখা ছিল ইউএনওর কার্যালয়ের নিচতলায়। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সেখানে একপক্ষ আরেকপক্ষকে দরপত্র দাখিলে বাধা দেয়। এরপর গুলি, ককটেলের বিস্ফোরণ এবং টেন্ডার বাক্স ভেঙে সব দরপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় ঘটনার পর রাতেই পবা উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তবে আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ নেই। অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
এ ব্যাপারে রাজশাহীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমা মোস্তারিন বলেন, ‘অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত আমান আজিজ বলেন, ‘আসামিদের আমরা চিনি না। তাই এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করবে। আর হাট ইজারার জন্য পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবারও দরপত্র জমা নেওয়া হবে।’
জেলা যুবদলের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মূলত খড়খড়ি হাট ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। আমরা দরপত্র জমা দিতে এলেই প্রথমে গেটের কাছে কয়েকজন বাধা দেন। এরপরও আমরা ব্যাংক ড্রাফট করি এবং বাক্সে দরপত্র জমা দিতে যাই। তখন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করা হয়। একপর্যায়ে বাধাদানকারীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বাক্স খুলে সব শিডিউল লুট করে নিয়ে যায়।’
ওই যুবদল নেতা আরও বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ এবং টেন্ডার বাক্স থেকে দরপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা নারায়ে তাকবির স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় এক শিবির ও জামায়াত নেতা জড়িত। তবে আমি তাদের নাম বলতে পারবো না।’
সাবেক ওই শিবির নেতাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমি দরপত্র জমা দিতে গিয়েছিলাম তা ঠিক। তবে দরপত্র লুটের ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা নেই। এটা যুবদল এবং বিএনপির দুই গ্রুপের বিরোধে হয়েছে।’