X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে গাফিলতি, জনজীবনে ভোগান্তি

নীলফামারী প্রতিনিধি
২৫ মে ২০১৭, ১২:৪৬আপডেট : ২৫ মে ২০১৭, ১২:৪৯

নীলফামারী নীলফামারীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে গাফিলতির কারণে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ জনজীবনে। ভোগান্তির পাশাপাশি জেলায় বিদ্যুৎ নির্ভর ছোটবড় অনেক কল-কারখানায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। দিনে রাতে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের এমন অবস্থার কারণে অতিষ্ঠ জেলার মানুষ।

সোমবার (২২মে) জেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা হলে জানা যায় বিভিন্ন সমস্যার কথা। শহরের নিউ বাবুপাড়া মহল্লার সিরাজুল ইসলাম (৪০) বলেন,‘দিনে রাতে ১৫ থেকে ২০বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। এতে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা।’

মিষ্টি ব্যবসায়ী ভোজন কুমার রায় বলেন, সময়ে অসময়ে বিদ্যুৎ যাওয়া আসার কারণে ফ্রিজসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্র চলছে না। ফলে দোকানের অনেক পণ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুতের অভাবে মিষ্টি তৈরির কাঁচামাল নষ্ট হচ্ছে।

চালকল মালিক আজিজুল ইসলাম (৫৫) বলেন,‘বোরো ধানের এ মৌসুমে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে চালকল চলছে না। বিদ্যুৎ যাওয়া আসার কারণে বেশিরভাগ সময়ে চালকল বন্ধ থাকছে। আবার যেটুকু সময় থাকে তার বেশিরভাগ সময়ে লো ভোল্টেজের কারণে কল চালানো যাচ্ছে না। কল বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে মালিকরা লোকশান গুণছে।’

নীলফামারী পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলায় ৫২ হাজার পিডিবির গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা ২৭ মেগাওয়াট, কিন্তু চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে সরবরাহ পাচ্ছি ১০ মেগাওয়াট। সেটি দিয়ে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং দিয়ে গ্রাহকদের সরবরাহ করার পরও ঢাকার স্বয়ংক্রিয় অপারেটিং সিস্টেম (স্কাডা) থেকে প্রায়সময় সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে। সেটি আমাদের জন্য বিপদজনক হয়ে পড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান সরবরাহ লাইনের ত্রুটির কারণে ১৮ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ নিতে না পারা, এবং আশুগঞ্জের টাওয়ার বিধ্বস্ত হওয়ার কারণে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসে। এছাড়া রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে রংপুর, সৈয়দপুর ও পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে মেরামত কাজ চলায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।’ দুই একদিনের মধ্যে এটি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।

নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা ব্যবস্থাপক এসএম হাসানাত হাসান বলেন, ‘জেলায় এক লাখ ৫৮ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রয়োজনীয় ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিপরীতে আমরা পাচ্ছি ২৫ মেগাওয়াট, কখনও আরও কম। এ অবস্থায় লোডশেডিং দিয়ে চালাতে হচ্ছে। আশা করছি রোজার আগে শতভাগ না হলেও ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ উন্নতি হবে।’

/এসএস/এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজধানীতে মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
রাজধানীতে মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি প্রণয়ন
টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি প্রণয়ন
গ্রিনপিন সেবা চালু করলো এনসিসি ব্যাংক
গ্রিনপিন সেবা চালু করলো এনসিসি ব্যাংক
রাজনৈতিক সংশয়ের মুখোমুখি নেতানিয়াহু
গাজায় যুদ্ধবিরতি নাকি রাফাহতে হামলারাজনৈতিক সংশয়ের মুখোমুখি নেতানিয়াহু
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?