প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক না করুক তাতে কিছুই যায় আসে না। তাদের জন্য নির্বাচন বন্ধ হবে না, নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে আর আওয়ামী লীগ তো আছেই। ফলে নির্বাচন না করার ব্যাপারে বিএনপির হুমকি-ধামকিতে কোনও লাভ হবে না।’ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়া বিষয়ে এরশাদ বলেন, ‘রাজনীতি করলে জেলে যেতে হবে। আমিও জেলে গেছি। এ নিয়ে এত বাড়াবাড়ির কী আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রায় দিয়েছেন বিচারক। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য আমি করবো না। দুর্নীতি মামলায় তার (খালেদা জিয়া) বিচার হয়েছে, জেল হয়েছে। এখানে এ নিয়ে হই চই করে লাভ কী?’
বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা জাতীয় পার্টিতে যোগদান করছেন বলে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি ইচ্ছে করে আমার দলে যোগ দিতে চায় কেন তাদের নেবো না। তারা যদি ভালো নেতা হয় যোগ্য প্রার্থী হয় তাদের অবশ্যই দলে নেবো এবং আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেবো।’ তবে কারা যোগদান করছেন তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘এখন বলা যাবে না।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির আন্দোলনকে দোষের কিছু মনে করেন না জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘তারা আন্দোলন করতেই পারে। তবে কোনও ধংসাত্মক কর্মসূচি না দেওয়াই তাদের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করি।’
এর আগে সকালে ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরণ করে সরাসরি মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে রংপুর সার্কিট হাউজে আসেন এইচ এম এরশাদ। এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাপা সম্পাদক ইয়াসির আহাম্মেদসহ নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এ সময় এরশাদের সঙ্গে ছিলেন জাপা নেতা ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিয়ার রহমান রাঙ্গা এবং এরশাদের ছোট ভাই জাপার কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের।