গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। এতে চরাঞ্চল ও নিম্নঞ্চলসহ জেলার চার উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। বাড়িঘরে পানি ওঠায় গবাদিপশু নিয়ে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ অথবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন, সদরের ৩টি, ফুলছড়ির ৬টি ও সাঘাটা উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর অধিকাংশ রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। কোথাও কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। এছাড়া গাইবান্ধা-বালাসীঘাট পাকা সড়কটির আধা কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সড়কের ওপর দিয়ে এখন নৌকা চলাচল করছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ কে এম ইদ্রিশ আলী বলেন, 'বন্যাকবলিত চার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত ৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্ব-স্ব উপজেলাগুলোর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এসব চাল ও টাকা বিতরণ করা হবে। এছাড়া রবিবার (২৮ জুন) বিকালে নতুন করে ৬০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে; যা পর্যায়ক্রমে বন্যাকবলিত এলাকায় বরাদ্দ দেওয়া হবে।