বিক্ষোভের মুখে রংপুরের পোশাকশ্রমিকদের ঢাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ট্রাক ও বাস চালুর অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা।
শনিবার (৩১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে ট্রাকে, বিআরটিসি বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঢাকায় যাচ্ছেন পোশাকশ্রমিকরা।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, যেহেতু লকডাউন চলছে সেহেতু সবকিছু মেনেই আমরা কাজ করছি। শ্রমিকদের মানবিক দিক বিবেচনা করে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তা না হলে তারা এখানে আটকে থাকেবন। অনেকেই অনেক দূর থেকে এসেছেন। কর্মস্থলে তো যেতেই হবে।
সন্ধ্যায় নগরীর মডার্ন মোড়ে দেখা গেছে, পোশাকশ্রমিকরা খালি ট্রাক, বাস পেলেই থামিয়ে চড়ে বসছেন। আবার কয়েকজন একসঙ্গে মিনি ট্রাক ভাড়া করে গাদাগাদি করে ঢাকায় যাচ্ছেন।
কুড়িগ্রাম থেকে আসা পোশাকশ্রমিক নাহিদা ইয়াসমিন ও মমতাজ বেগমসহ কয়েকজন জানান, রবিবার থেকে কারখানা খোলা। কর্মস্থলে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না বলে জানানো হয়েছে।
পোশাক শ্রমিকনেতা সাহাবুল আলম বলেন, সকাল থেকে নগরীর মডার্ন মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন শ্রমিকরা। আমরা প্রশাসনের কাছে ঢাকায় যাওয়ার পরিবহনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছিলাম। পুলিশ ও প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা এসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। এরপর খালি ট্রাক, বিআরটিসি বাসসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাড়া করে শ্রমিকরা ঢাকায় যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ বলেন, মানবিক কারণে শ্রমিকদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল থেকে রংপুর ও আশপাশের জেলার পোশাকশ্রমিকরা ঢাকায় কারখানায় কাজে যোগ দেওয়ার জন্য রংপুর নগরীর মডার্ন মোড়ে আসেন। দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও যানবাহন পাননি। পণ্যবাহী ও খালি ট্রাকে গন্তব্যে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে মডার্ন মোড় ও আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এ সময় হাজার হাজার পোশাকশ্রমিক পরিবহনের ব্যবস্থা করার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকাপড়ে।