X
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩
১৮ চৈত্র ১৪২৯

সেতু আছে রাস্তা নেই

হালিম আল রাজী, হিলি
২২ আগস্ট ২০২১, ১৯:৪২আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২১, ১৯:৪২

দিনাজপুরের বিরামপুরের জোতবানী ইউনিয়নে রাস্তা ছাড়াই মাঠের মাঝখানে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর একপাশে গ্রাম অন্যপাশে ডোবা। স্থানীয়দের কোনও কাজে আসছে না ১৯ লাখ টাকার এই সেতু।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের জোতবানী গ্রাম ও কাঠলা ইউনিয়নের শৈলান গ্রামের সংযোগস্থলে ফসলি মাঠ। মাঝখানে রয়েছে একটি ডোবা। দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তা নেই। অথচ ফসলি মাঠের মাঝখানে নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি করা হয়। 

জোতবানী গ্রামের জসিম উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মানুষের চলাচলের জন্য সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। ফলে সেতু থাকলেও রাস্তা না থাকায় চলাচল করতে পারছে না এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের কোনও কাজে আসছে না ১৯ লাখ টাকার এই সেতু

জোতবানী গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জোতবানী ও শৈলান গ্রামের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু রাস্তা নির্মাণ না করেই সেতু করা হয়েছে। এ জন্য মানুষের কাজে আসছে না। মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত রাস্তা নির্মাণের দাবি জানাই।

একই গ্রামের বাসিন্দা মেহেদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সেতু হলেও রাস্তা না থাকায় এক গ্রামের মানুষ অন্য গ্রামে যেতে পারছে না। সেতু রেখে জমির আইল দিয়ে মানুষ চলাচল করে। একটা রাস্তা নির্মাণ করলে দুই গ্রামের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার পরিবর্তন হতো।

জোতবানী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ওই স্থানে সেতু নির্মাণের কারণ হলো দুই গ্রামের মানুষের অনেক জমিজমা আছে। কিন্তু সেখানে ডোবা থাকায় ধান নিয়ে আসতে পারে না গ্রামের মানুষ। এ জন্য সেতু করা হয়েছে। জোতবানী ইউনিয়নের মধ্যে যেটুকু রাস্তা পড়েছে সেটুকু বেঁধে দিয়েছি। পাশের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে, তার ইউনিয়নে যেটুকু পড়েছে নির্মাণ করে দেবেন বলেছেন। সেতু হওয়ায় আমার এলাকার মানুষের উপকার হয়েছে। এখন রাস্তা হলেই যাতায়াত করতে পারবে।

ফসলি মাঠের মাঝখানে নির্মাণ করা হয়েছে সেতু

কাঠলা ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ওখানে রাস্তা নেই। নতুন রাস্তা নির্মাণের কথা বলেছেন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। তবে এখন পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়নি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের বিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল সাদিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ওখানে সেতু নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা নেই। আর আমাদের কাঁচা কোনও সড়ক নেই। এমন সড়ক নির্মাণের কথাও নেই। হয়তো উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অধীনে ওই সড়ক নির্মাণ হবে, সেতুও তারা করেছে।

বিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন র্কমর্কতা মো. কাওসার আলী বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসীর জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়ছেে।

/এএম/ 
সম্পর্কিত
রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
দোকানে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান
দেশে প্রথমবার সড়ক নির্মাণে প্লাস্টিক-টাইলসের ব্যবহার
সর্বশেষ খবর
ইউরোপে ফাহাদের নতুন চ্যালেঞ্জ
ইউরোপে ফাহাদের নতুন চ্যালেঞ্জ
‘এখনও বেঁচে আছি’, হাসপাতাল ছেড়ে পোপ
‘এখনও বেঁচে আছি’, হাসপাতাল ছেড়ে পোপ
৪৫ লাখ টাকা সহায়তা পেলেন রোগীরা 
৪৫ লাখ টাকা সহায়তা পেলেন রোগীরা 
সাকিব-লিটনকে রেখেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা
সাকিব-লিটনকে রেখেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা
সর্বাধিক পঠিত
চাকরি জীবনের প্রথম কাজে আসিফ পাস!
চাকরি জীবনের প্রথম কাজে আসিফ পাস!
প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল: এডিটরস গিল্ড
প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল: এডিটরস গিল্ড
২২০ টাকায় মুরগি বিক্রি করায় জরিমানা, অভিযান দেখে পালালেন ব্যবসায়ীরা
২২০ টাকায় মুরগি বিক্রি করায় জরিমানা, অভিযান দেখে পালালেন ব্যবসায়ীরা
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী অঙ্কিতার গল্প
ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী অঙ্কিতার গল্প