X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

জমির দলিলের জন্য বৃদ্ধ মা-বাবাকে হত্যা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
১১ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৫৮আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৮:০৫

ছেলেদের নামে জমিজমা ভাগ-বণ্টন করে দিয়েছিলেন বাবা হাফিজুর রহমান (৭৫)। কিন্তু বড় ছেলের আচরণ ভালো না হওয়ায় জমির দলিল হস্তান্তর করেননি। আর এই জমির দলিল হস্তান্তর না করাই ছেলের পরিকল্পনায় হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী ফেন্সিয়ারা বেগমকে (৫৬) হত্যা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সচিন চাকমা। এ সময় নবাবগঞ্জ থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৪ নভেম্বর নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের নির্শা কাজলদীঘি গ্রামে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতদের ছোট ছেলে আব্দুল মালেক থানায় হত্যাসহ ডাকাতি একটি মামলা করেন। ঘটনার সাত দিনের মাথায় ছেলেসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—হাফিজুর রহমানের ছেলে আব্দুল মতিন মিঠু (৫০), নবাবগঞ্জ উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া (২৫) ও এনামুল হকের ছেলে উজ্জল হোসেন (২৫)। গতকাল দিনাজপুর শহরের কলেজ মোড় ও ধরঞ্জী গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, জমি লিখে দিলেও দলিল ছেলেদের কাছে হস্তান্তর করেননি হাফিজুর রহমান। দলিল পেতে ছেলে মিঠু ফুফাতো ভাই সুলতানের সঙ্গে সেটা চুরির পরিকল্পনা করেন। পরবর্তীতে কয়েকজনের সঙ্গে মিঠুর দলিল চুরির চুক্তি করেন। চুক্তিতে বলা হয়, দলিল তারা এনে দিবে, তবে বাসায় যে টাকা পাওয়া যাবে সেগুলো তারা নেবে। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে উজ্জল হোসেন, রাজন মিয়া ও সুলতানসহ কয়েকজন দেয়াল টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় হাফিজুর রহমান ও ফেন্সিয়ারা বেগমের হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ মারে তারা। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে হাফিজুরকে বালিশ চাপায় হত্যা করে। পরে ফেন্সিয়ারাকেও একইভাবে হত্যা করে কাগজপত্র, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

সচিন চাকমা জানান, ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান চলছে। আজ আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারকের কাছে তিন জন জবানবন্দি দেবেন।

/এসএইচ/
সম্পর্কিত
‘সম্পত্তির লোভে’ মনজিলকে হত্যা: ৭ বছরেও শেষ হয়নি বিচার
বঁটির কোপে দুই বছরের শিশুর মাথা বিচ্ছিন্ন, চাচি আটক
‘কলা চুরি’ নিয়ে বিতর্কের জেরে স্কুলছাত্রকে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
সর্বশেষ খবর
পরপর দুবার কমলো এলপিজির দাম
পরপর দুবার কমলো এলপিজির দাম
ছবিটি দেখে মুগ্ধ তারকারাও!
ছবিটি দেখে মুগ্ধ তারকারাও!
‘সম্পত্তির লোভে’ মনজিলকে হত্যা: ৭ বছরেও শেষ হয়নি বিচার
‘সম্পত্তির লোভে’ মনজিলকে হত্যা: ৭ বছরেও শেষ হয়নি বিচার
দেশের পর্দায় ক্রিস্টোফার নোলানের দুই ছবি
দেশের পর্দায় ক্রিস্টোফার নোলানের দুই ছবি
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে