X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে প্রাথমিকের প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী পুষ্টি বিস্কুট বঞ্চিত

নীলফামারী প্রতিনিধি
১০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০৯

ঝরে পড়া রোধ, শিশুদের পুষ্টির অভাব পূরণ ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১১ সালে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আওতায় নীলফামারীর এক হাজার ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টিমান সম্পন্ন বিস্কুট দেওয়া হয়।

কিন্তু কর্মসূচিটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন বিস্কুট পাচ্ছে না জেলার এক লাখ ৯৫ হাজার ৪৬১ শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কমেছে। এ ছাড়া পুষ্টিমান সম্পন্ন বিস্কুট না পেয়ে অপুষ্টির শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য দেশের ২৩টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রায় এক হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে।  

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কারিগরি সহযোগিতায় বেসরকািরিউন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাস্তবায়ন সহযোগীর দায়িত্ব পালন করে। করোনাকালীন অভিভাবকদের আয় কমে যাওয়ায় প্রকল্পভুক্ত প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের খাদ্য ঘাটতি ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সরকারি নির্দেশনায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিস্কুট বিতরণ করা হয়।

গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একবারেই কমে যায়। সরকার বিষয়টি বুঝতে পেরে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিস্কুট বিতরণের নির্দেশ দেয়। এরপর প্রকল্পটি নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। তাই পুনরায় ব্যয় বৃদ্ধি করে বিস্কুট বিতরণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকসহ প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা।

পুষ্টিমান সম্পন্ন বিস্কুট না পেয়ে অপুষ্টির শিকার হতে পারে শিক্ষার্থীরা

জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল আউয়াল জানান, এলাকার শিক্ষার্থীরা অধিকাংশই সুবিধবঞ্চিত। তাদের অভিভাবকরা দিন আনে দিন খায়। ফলে সকালে অনেকেই নাস্তা না খেয়ে স্কুলে আসতে বাধ্য হয়। এ সময় অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন বিস্কুট খেয়ে তাদের লেখাপড়াসহ উপস্থিতির হারও বেশ বেড়েছে। স্কুল ফিডিং প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হলে ঝরে পড়া রোধসহ স্কুল ফাঁকির প্রবণতা কমে যাবে।

আরডিআরএস বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার প্রকল্প সমন্বয়কারী আনন্দ কুমার পাল জানান, আরডিআরএস স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন ও তদারকিসহ সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ২০১১ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্মসূচি বন্ধের প্রায় ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়ে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু রাখা অত্যন্ত জরুরি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি বন্ধ হলে তৃণমূলে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। প্রকল্পটি প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক সহায়তা করে থাকে। এই কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদি হলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা উপকৃত হবে।

উল্লেখ্য, প্রকল্পটির উদ্বৃত্ত (অব্যয়িত) প্রায় ৪৭৩ কোটি ৯ লাখ টাকা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে অপুষ্টির শিকার না হয় এবং ঝরে না পড়ে তা বিবেচনায় দ্রুত মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকসহ প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।

/এসএইচ/
সম্পর্কিত
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
শিক্ষার্থীদের ফি থেকেই আসবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের করের টাকা! 
হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, দাবি বুয়েটের ছয় শিক্ষার্থীর
সর্বশেষ খবর
লিটারে ১০ টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম
লিটারে ১০ টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম
কোপেনহেগেনের ঐতিহাসিক স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন
কোপেনহেগেনের ঐতিহাসিক স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন
ঈদের ছুটি শেষে ফিরছিলেন ঢাকায়, পথেই শেষ ৪ সদস্যের পরিবার
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩ঈদের ছুটি শেষে ফিরছিলেন ঢাকায়, পথেই শেষ ৪ সদস্যের পরিবার
কাজলরেখা: ঘোড়া, গরু, হাতিগুলো স্বাস্থ্যবান নয়
সিনেমা সমালোচনাকাজলরেখা: ঘোড়া, গরু, হাতিগুলো স্বাস্থ্যবান নয়
সর্বাধিক পঠিত
কিছু আরব দেশ কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?
কিছু আরব দেশ কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ১৮ এপ্রিল
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ১৮ এপ্রিল
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি