দিনাজপুরের হিলিতে দুই দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেকে নেমেছে। দুই দিন আগেও প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়। ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকায় ও দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা আইয়ুব আলী বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বেড়েছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম আকাশ ছুঁয়ে যায়। তবে দাম কিছুটা কমতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরেছে। যে কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছিল, এখন তা ৭৫-৮০ টাকায় নেমেছে।’
কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, ‘দেশের বাজারে চাহিদা মেটাতে বেশ কিছুদিন ধরে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এতে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে। সেই সঙ্গে আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদন ভালো হয়েছে। তাই বাজারে দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহও আগের তুলনায় বেড়েছে।’
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সরবরাহ কমায় দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা। মোকামগুলোতে দাম অনেকটা কমে এসেছে। বর্তমানে দেশি কাঁচা মরিচ ৫০ টাকায় নেমে এসেছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানি আগের তুলনায় কিছুটা কম হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন গতকাল শনিবার বন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১৩ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।’