নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘ছয় মাস হলো আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। এখন পর্যন্ত কেউই ইভিএমের ত্রুটি ধরিয়ে দিতে ও প্রমাণ করতে পারেননি। আহ্বান জানিয়েছি, আসেন ইভিএমের কোনও ত্রুটি থাকলে আমাদের দেখান, আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় শেষে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে রংপুর সদর-৩ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হয়েছে। কোনও ধরনের কারচুপি বা অনিয়মের অভিযোগ কেউ করেনি। সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলমান আছে। তারপরও কেউ কেউ ইভিএম সম্পর্কে নানা রকম শঙ্কা প্রকাশ করার পর আমরা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসেছি। তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকেও বিশেষজ্ঞ নিয়ে বৈঠক আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু মুখে তারা যা বলেন বাস্তবে ইভিএমের কোনও ক্রটি তারা ধরিয়ে দিতে পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘সামনে জেলা পরিষদ ও গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমেই করা হবে। এ ছাড়া রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যথাসময়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচন করবো, এটা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। যারা ইভিএম নিয়ে নানা সংশয়ের কথা বলেন, তাদের অনেকবার বিশেষজ্ঞ নিয়ে এসে ইভিএমের ত্রুটি বের করার আহ্বান জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দল কিংবা অন্য কেউ এর কোনও সমস্যা বের করতে পারেনি। শুধু মুখে বললে হবে না, আমরা প্রমাণ চাই ইভিএমে কী কী ত্রুটি আছে।’
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক জনসমাগম হয়। পেশিশক্তি ব্যবহার করার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।’