কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের সঙ্গে দেখা শেষে বাসে ঢাকায় ফিরছিলেন দুই তরুণ। তাদের কাছ থেকে এক হাজার ৯০৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে রবিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে রাজীবপুরের বটতলা এলাকা থেকে ওই দুই তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামের নিমাই আচার্যের ছেলে রাজন আচার্য (২৮) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার রায়পুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫)।
রাজীবপুর থানার এএসআই শামছুল আলম জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজীবপুর উপজেলার বটতলা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ঢাকাগামী এসএস ক্লাসিক বাসের যাত্রী রাজন ও শফিকুল ইসলামের দেহ তল্লাশি করে অন্তর্বাসে লুকিয়ে রাখা এক হাজার ৯০৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বিক্রির জন্য এসব ইয়াবা নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন তারা।
এএসআই শামছুল আলম বলেন, ‘ওই দুই তরুণ রৌমারীতে কার কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল তা স্বীকার করেনি। তবে তারা দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেনের সঙ্গে দেখা করে ঢাকায় ফিরছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া রাজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচ-ছয়টি এবং সফিকুলের বিরুদ্ধে দুটি মাদক মামলা রয়েছে। তারা অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির।’
এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে ফোন দিয়ে মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে রৌমারীর একাধিক সূত্র জানায়, ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের হাত ধরেই রৌমারী থেকে আসাম-রৌমারী-ঢাকা ইয়াবা চোরাচালান হয়ে থাকে। যে কয়েকজন মাদক কারবারির হাত ধরে রৌমারী ইয়াবা পাচারের নতুন রুট হিসেবে পরিচিতি পায়; জাকির মেম্বার তাদের মধ্যে অন্যতম। তার বিরুদ্ধে রৌমারী ও ঢাকায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়া অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুমের মামলা রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
রাজীবপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেফতার দুই তরুণের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’