প্রথম হতে নয় বরং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) নিয়ে পড়ার ইচ্ছা থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শাফিন আহমেদ। তিনি বুয়েটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। সোমবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় এই ফল প্রকাশ পায়।
শাফিনের বাবার বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ঠগেরহাট গ্রামে। তার বাবার নাম সেকেন্দার আলী এবং মায়ের নাম পলি খাতুন। তারা সপরিবারে ঢাকার উত্তরায় বসবাস করছেন। দুই ভাই ও এক বেনের মধ্যে শাফিন দ্বিতীয়। তার বড় ভাই সাইফ আহমেদ বুয়েটে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
শাফিন ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে ২০২০ সালে মাধ্যমিক ও ২০২২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত হয়ে (গোল্ডেন) উত্তীর্ণ হন। তিনি এ বছর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ২৪৬ তম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১০৩ তম এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে (আইইউটি) ১৪তম স্থান অর্জন করেছেন।
তার চাচাতো ভাই মাহমুদ মিলন জানান, তার বাবা সেকেন্দার আলী বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকার উত্তরায় থাকেন। শাফিন ইতোমধ্যে সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। তবে তার ইচ্ছা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) নিয়ে পড়ার। বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ায় সে সেখানেই ভর্তি হতে পারে।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে শাফিন বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি। যদিও প্রথম হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে পরীক্ষা দেইনি। ইচ্ছা ছিল, সিএসই নিয়ে পড়ার। প্রথম হওয়াতে সে ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে। এ জন্য অনেক আনন্দ লাগছে। বুয়েটেই ভর্তি হবো। ইতোমধ্যে মেডিক্যালে ভর্তি হলেও সেটা ক্যারি করবো না।’
আগামী দিনের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিয়মিত পড়তে হবে। একদিন পড়ে বিরতি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। একটু একটু করে নিয়মিত পড়লে সফলতা আসবে।’
তার বাবা সেকেন্দার আলী বলেন, ‘ঢাকায় থাকলেও আমরা কুড়িগ্রামের, চিলমারীর মানুষ। ছেলের রেজাল্টে আমরা অত্যন্ত খুশি। সন্তানদের সাফল্য বাবা-মাকে আনন্দিত করে। ওরা ভালো করলে আমরা খুশি হই। শাফিন সিএসই নিয়ে পড়তে চায়। ওর জন্য সবাই দোয়া করবেন।’