কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসলে নেমে নিখোঁজ মো. শাহা আলমের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা। রৌমারীর কর্তিমারী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের স্টেশন ইনচার্জ আব্দুল আলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর চরের গ্রাম এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন শাহা আলম। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল ও স্থানীয়দের যৌথ তল্লাশি চললেও রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি। সোমবার সকাল থেকে আবারও তার খোঁজে নদে তল্লাশি চালায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয়রা। দুপুরে লাশ উদ্ধার করা হয়।
শাহা আলম গাজীপুর জেলার সফিপুর উপজেলার সেনাবর গ্রামের রহম আলীর ছেলে। তিনি সফিপুর শহরের একটি গ্যারেজে মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। পাঁচ দিন আগে রৌমারীর ধনারচর পশ্চিম পাড়া গ্রামে নানা নুর ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রবিবার দুপুরে মামাতো ভাই সাজিম হাসানসহ নদে গোসল করতে নামেন শাহ আলম।
নিখোঁজের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, গোসল করার সময় তারা তীর থেকে খানিক দূরে সাঁতার কাটতে গেলে দুজনই ডুবে যেতে থাকেন। এ সময় তাদের উদ্ধারে সহায়তা চেয়ে সাজিম চিৎকার করলে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি ডিঙি নৌকার মাঝি তাদের উদ্ধারে এগিয়ে যান। নৌকাটি সাজিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে শাহা আলম ব্রহ্মপুত্রে ডুবে যান।
কর্তিমারী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের স্টেশন ইনচার্জ আব্দুল আলিম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ ফুট ভাটিতে লাশটি পাওয়া গেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেন বলেন, ‘সোমবার বিকালে জানাজা শেষে নানা বাড়ি ধনারচর পশ্চিম পাড়া গ্রামে শাহা আলমকে দাফন করা হয়েছে।’
এর আগে, গত বুধবার নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসলে নেমে চার শিশু নিখোঁজ হয়। একদিন পর বৃহস্পতিবার তিন শিশুর এবং তার পরদিন শুক্রবার অপর শিশুটির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।