X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিজ গ্রামে শায়িত হলেন ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৫আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৯

নিজ গ্রামে শায়িত হলেন ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উছলাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় কুলাউড়া নবীন চন্দ্র মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রওশন আরার মরদেহ স্কুল মাঠে নিয়ে আসলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার), কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটি এম ফরহাদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের নেতারা।
এর আগে, বাংলা একাডেমি থেকে রওশন আরা বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার পশ্চিম মণিপুরের বাসায়। এশার নামাজের পর সেখানকার বায়তুল আমান জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লাশবাহী গাড়ি রাত ৩টায় পৌঁছায় কুলাউড়ার উছলাপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে।
রওশন আরা বাচ্চুর ছোট মেয়ে তাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আমার মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল, তার নিজ জন্মস্থানে শায়িত হবেন। আমরা সেই আশা পূর্ণ করেছি। আমার মায়ের নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে চাই। এটি হলেই মায়ের আত্মা শান্তি পাবে।’

নিজ গ্রামে শায়িত হলেন ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৫২ সালে মেয়েরা প্রকাশ্যে সভা-সমিতি করতে বিব্রত বোধ করতেন। এমনকি বাইরে বের হতেও বিধিনিষেধ ছিল। সে সময় রওশন আরা বাচ্চু আন্দোলন করেছেন। ভাষা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’ তার স্মৃতি রক্ষায় কুলাউড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা রাস্তার নামকরণ দাবি করেন তিনি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন বলেন, ‘রওশন আরা বাচ্চুর স্মৃতি রক্ষায় রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা নিশ্চয়ই কাজ করবো। ৫২ সালে তিনি ভাষা সংগ্রামী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। রওশন আরা বাচ্চু সাহসী নারী ছিলেন। ভাষা আন্দোলন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলা ভাষার প্রশ্নে তিনি সর্বদাই সোচ্চার ছিলেন। আমি তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’
প্রসঙ্গত, মূলত বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছিল রওশন আরা বাচ্চুর। পাশাপাশি নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত রবিবার (১ ডিসেম্বর) তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেদিন ইমার্জেন্সিতে তিন ঘণ্টা রেখে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার উছলাপাড়া গ্রামে ১৯৩২ সালের ১৭ ডিসেম্বর রওশন আরা বাচ্চুর জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে অনার্স ও ইতিহাসে এমএ পাস করেন তিনি। ঢাকার বেশকিছু খ্যাতনামা স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, আজিমপুর গার্লস স্কুল, নজরুল একাডেমি, কাকলি হাইস্কুল।

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কিশোরকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
কিশোরকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
সুন্দরবনের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষ
সুন্দরবনের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষ
লন্ডনের স্টেডিয়ামে গাইবেন জেমস
লন্ডনের স্টেডিয়ামে গাইবেন জেমস
যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংর্ঘষে নিহত ২
যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংর্ঘষে নিহত ২
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
আমার কাছে ৪৫টি বাচ্চা আছে, ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে: আদালতে মিল্টন সমাদ্দার
আমার কাছে ৪৫টি বাচ্চা আছে, ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে: আদালতে মিল্টন সমাদ্দার