X
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
২৬ বৈশাখ ১৪৩২

১৮ বছর ধরে জহিরুলের সরকারি চাকরিটি করছেন আরেকজন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
১৩ আগস্ট ২০২২, ২২:০৭আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২২, ২২:০৭

কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগে উত্তীর্ণের পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র পাননি তিনি। চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে কাপড় ব্যবসা শুরু করেন।

১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন। একই ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জের বাহুবলের মনতলা গ্রামের বাসিন্দা মঈন উদ্দিন খান ও একই জেলার বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কমিটি।

কমিটির প্রধান সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এ জি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে।

কমিটির প্রধান কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে তিন জনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এর মধ্যে কারারক্ষী পদে চাকরিরত মঈন উদ্দিন খান পরিচয়ধারী একজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কারারক্ষী পদে দায়িত্বরত জহিরুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম পরিচয়ধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি এবং এটি চলমান রয়েছে। ভুক্তভোগীদের চাকরি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’

এই জালিয়াতিতে কারা জড়িত তদন্তে এমন কোনও তথ্য উঠে এসেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি অনেক আগের ঘটনা। তখন যারা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করেছেন অনেকেই এখন হয়তো অবসরে। তাই বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যায়নি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জহিরুল ইসলাম এশু ২০০৩ সালে কুলাউড়া পৌর শহরের জয়পাশা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে তিনি জয়চন্ডী ইউনিয়নের কামারকান্দি এলাকায় বসবাস করছেন। ওই সময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য সিলেটে গিয়ে শারীরিক ফিটনেস এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়োগের বিষয়ে কুলাউড়া থানা থেকে অধিকতর তদন্ত করা হয়। তবে চাকরির যোগদানপত্র তার কাছে পৌঁছায়নি।

গত ৮ ডিসেম্বর সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কার্যালয় থেকে ঠিকানা ও পরিচয় যাচাইয়ের জন্য কুলাউড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম খান খসরুর কাছে কারারক্ষী ক্রমিক নম্বর ২২০১৪ নম্বর মূলে ‘জহিরুল ইসলাম এশু’ চাকরি করেন, এই মর্মে চিঠি আসে। পরে জহিরুল ইসলাম কারারক্ষী পদে তার নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অন্য কেউ চাকরি করছেন- বিষয়টি জানিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম এশু বলেন, ‘কারারক্ষী পদে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। কিন্তু নিয়োগপত্র পাইনি। ১৮ বছর পর জানতে পারলাম, আমার নাম-পরিচয় জালিয়াতি করে আরেকজন চাকরি করছে। আমি চাকরিটি ফিরে পেতে চাই।’

/এফআর/
সম্পর্কিত
টেকনাফে সরকারি বরাদ্দের মালামাল মিয়ানমারে পাচার
অনলাইনে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন ছিনতাই করতো তারা
১৯ দিন পর জামিনে কারামুক্ত মডেল মেঘনা আলম
সর্বশেষ খবর
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের নামাজ আদায়
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের নামাজ আদায়
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ২২০ বার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, অভিযোগ ইউক্রেনের
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ২২০ বার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, অভিযোগ ইউক্রেনের
যমুনার আশেপাশের সব সড়কে কঠোর নিরাপত্তা
যমুনার আশেপাশের সব সড়কে কঠোর নিরাপত্তা
সিনেমায় বালাম ও জালালী শাফায়াত!
সিনেমায় বালাম ও জালালী শাফায়াত!
সর্বাধিক পঠিত
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
‘সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে জড়িতদের শাস্তি দিতে না পারলে আমি চলে যাবো’
‘সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে জড়িতদের শাস্তি দিতে না পারলে আমি চলে যাবো’
নৌ পুলিশের অভিযানে ২৭৬ জন গ্রেফতার, ১০ মরদেহ উদ্ধার
নৌ পুলিশের অভিযানে ২৭৬ জন গ্রেফতার, ১০ মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করলেন স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করলেন স্নিগ্ধ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ৫৬ জনের পদত্যাগ, তুলেছেন দুর্নীতির অভিযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ৫৬ জনের পদত্যাগ, তুলেছেন দুর্নীতির অভিযোগ