X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

১৮ বছর ধরে জহিরুলের সরকারি চাকরিটি করছেন আরেকজন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
১৩ আগস্ট ২০২২, ২২:০৭আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২২, ২২:০৭

কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগে উত্তীর্ণের পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র পাননি তিনি। চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে কাপড় ব্যবসা শুরু করেন।

১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন। একই ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জের বাহুবলের মনতলা গ্রামের বাসিন্দা মঈন উদ্দিন খান ও একই জেলার বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কমিটি।

কমিটির প্রধান সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এ জি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে।

কমিটির প্রধান কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে তিন জনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এর মধ্যে কারারক্ষী পদে চাকরিরত মঈন উদ্দিন খান পরিচয়ধারী একজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কারারক্ষী পদে দায়িত্বরত জহিরুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম পরিচয়ধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি এবং এটি চলমান রয়েছে। ভুক্তভোগীদের চাকরি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’

এই জালিয়াতিতে কারা জড়িত তদন্তে এমন কোনও তথ্য উঠে এসেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি অনেক আগের ঘটনা। তখন যারা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করেছেন অনেকেই এখন হয়তো অবসরে। তাই বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যায়নি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জহিরুল ইসলাম এশু ২০০৩ সালে কুলাউড়া পৌর শহরের জয়পাশা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে তিনি জয়চন্ডী ইউনিয়নের কামারকান্দি এলাকায় বসবাস করছেন। ওই সময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য সিলেটে গিয়ে শারীরিক ফিটনেস এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়োগের বিষয়ে কুলাউড়া থানা থেকে অধিকতর তদন্ত করা হয়। তবে চাকরির যোগদানপত্র তার কাছে পৌঁছায়নি।

গত ৮ ডিসেম্বর সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কার্যালয় থেকে ঠিকানা ও পরিচয় যাচাইয়ের জন্য কুলাউড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম খান খসরুর কাছে কারারক্ষী ক্রমিক নম্বর ২২০১৪ নম্বর মূলে ‘জহিরুল ইসলাম এশু’ চাকরি করেন, এই মর্মে চিঠি আসে। পরে জহিরুল ইসলাম কারারক্ষী পদে তার নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অন্য কেউ চাকরি করছেন- বিষয়টি জানিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম এশু বলেন, ‘কারারক্ষী পদে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। কিন্তু নিয়োগপত্র পাইনি। ১৮ বছর পর জানতে পারলাম, আমার নাম-পরিচয় জালিয়াতি করে আরেকজন চাকরি করছে। আমি চাকরিটি ফিরে পেতে চাই।’

/এফআর/
সম্পর্কিত
উপবৃত্তির নামে প্রতারণা, ক্রেডিট-ডেবিট কার্ডে অর্থ লুট
সনদ বাণিজ্য: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ
ফেসবুকে ১৩টি পেজ খুলে ব্ল্যাকমেইল, ‘মূলহোতা’ গ্রেফতার
সর্বশেষ খবর
রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে
কাতারের আমিরের সফররাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে
পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন, ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা
ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন, ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা
ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই গ্রেফতার
ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ