বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। রবিবার (২২ অক্টোবর) সকালে প্রাক্তন শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কলেজ ক্যাম্পাস যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
সকাল ১০টায় বেলুন ওড়ানোর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এরপর কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য র্যালি ও কেক কাটা হয়। গৌরব ও ঐতিহ্যের ৬১ বছরে পদার্পণ করেছে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ (সিওমেক)। ১৯৬২ সালের ২২ অক্টোবর যাত্রা শুরু করেছিল দেশের অনেক কিংবদন্তি চিকিৎসক গড়ার এ সূতিকাগার।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রতি বছরই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সিলেটসহ সারা দেশে মানবসেবায় ছড়িয়ে থাকা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদেরকে নিমন্ত্রণ দেওয়া হয়। কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে কলেজ ক্যাম্পাস উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়।
জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটি সিলেট বিভাগের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। ১৯৩৬ সালে সিলেটের প্রাণকেন্দ্র পুরাতন মেডিক্যাল এলাকায় স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু হয় এ হাসপাতালের। ১৯৪৮ সালে সিলেট মেডিক্যাল স্কুল হিসেবে উন্নীত হয়। ১৯৬২ সালের ২২ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত ৩০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এ হাসপাতালের অনন্য ভূমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় এই হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন ডা. শামসুদ্দীন আহমদ, ডা. শ্যামল কান্তি লালা, ড্রাইভার কোরবান আলী, সেবক মাহমুদুর রহমানসহ আরও অনেক। এ ছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক সিলেটের কৃতি সন্তান বঙ্গবীর মোহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর নামকরণে করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।