X
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
১৩ চৈত্র ১৪২৯

প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশনা

এস এম আববাস
০৬ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০৫আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৪৪

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব পদের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের জন্য ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য সহকারী শিক্ষক হিসেবে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি জারির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশনাও দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিগগিরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির কার্যক্রমটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মুজিববর্ষে সব শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়নি। তবে গত সেপ্টেম্বরে নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগের পর গত সেপ্টেম্বরে কোটামুক্ত রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এতে নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়। প্রাথমিকের শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেড হওয়ার কারণে এই প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয় বিবেচনার পর বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটা না রাখার বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা সংরক্ষণ করা হতো। তবে ১৪ থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে এসব কোটা রাখা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্যপদ এবং গত জুন মাস থেকে এখন পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে এসব পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন, নিয়োগ দেওয়া হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। এর আগে একই বছর ২০১৪ সালের স্থগিত পরীক্ষাটিও নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ প্রার্থী। এরমধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে।
এ দুই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত নির্বাচিত না হওয়ায় নিয়োগ পাননি ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী। উত্তীর্ণ এসব প্রার্থী ২০১০-২০১১ সালের মতো প্যানেল নিয়োগ চান। তবে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘প্যানেলে নিয়োগ দেওয়া হবে না। নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।’

/এমআর/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরখাস্ত, ইসরায়েলজুড়ে সহিংস আন্দোলন
বিচারব্যবস্থা সংস্কারে অসন্তোষপ্রতিরক্ষামন্ত্রী বরখাস্ত, ইসরায়েলজুড়ে সহিংস আন্দোলন
রমজান কেন সর্বোত্তম মাস?
রমজান কেন সর্বোত্তম মাস?
এখনও আর্জেন্টিনায় খেলার স্বপ্ন দেখেন জামাল!
এখনও আর্জেন্টিনায় খেলার স্বপ্ন দেখেন জামাল!
হাইকোর্ট বলেছেন বন্ধের কথা, জরিমানায় দায় সারে জেলা প্রশাসন
হাইকোর্ট বলেছেন বন্ধের কথা, জরিমানায় দায় সারে জেলা প্রশাসন
সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও সক্রিয় ‘খড় পার্টি’, টার্গেট নারীরা
রাজধানীতে আবারও সক্রিয় ‘খড় পার্টি’, টার্গেট নারীরা
স্যার না ডেকে ভাই বলায় শিক্ষকের ওপর খেপলেন সরকারি কর্মকর্তা
স্যার না ডেকে ভাই বলায় শিক্ষকের ওপর খেপলেন সরকারি কর্মকর্তা
সোমবার থেকে সরকারি অফিস ও ব্যাংক চলবে নতুন সময়সূচিতে
সোমবার থেকে সরকারি অফিস ও ব্যাংক চলবে নতুন সময়সূচিতে
ইফতার-সেহরি বিক্রিতে ব্যস্ত ওমর সানী ও মাহিয়া মাহি
ইফতার-সেহরি বিক্রিতে ব্যস্ত ওমর সানী ও মাহিয়া মাহি
১০ টাকার ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা এখন ৯০ টাকা
১০ টাকার ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা এখন ৯০ টাকা