ক্যালেন্ডার অনুসারে ফাল্গুন এসেছে গেলো ১৪ ফেব্রুয়ারি। যদিও ঝরা পাতা কিংবা স্নিগ্ধ ফুলের মঞ্জরিতে প্রকৃতিতে বাসন্তী রঙ লেগেছে আরও আগেই। এই ঋতুরাজকে উপলক্ষ বানিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘ফাল্গুন উৎসব ১৪২৯’। আয়োজনে ভাওয়াল ক্লাব।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) শুরু হচ্ছে এই উৎসব। ঢাকার কেরানীগঞ্জের মনোহরিয়ায় অবস্থিত আটি-ভাওয়াল স্কুল মাঠে বসছে আসরটি। এতে নাচ-গানের জমকালো পরিবেশনার সঙ্গে থাকছে গুণীজন সম্মাননাও।
উৎসবটি নিয়ে আয়োজকদের পক্ষে ফারহিন খান জয়িতা বাংলা ট্র্রিবিউনকে বলেন, ‘কেরানিগঞ্জে সঙ্গীতজ্ঞ ওয়াহিদুল হকের বাড়ি। তিনি বেঁচে থাকতে এখানে নানা ধরনের উৎসব হতো। কিন্তু পরবর্তীতে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। আমরা ফাল্গুন উৎসবের মধ্য দিয়ে আবারও সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এই আয়োজন করেছি। আয়োজনের তিনদিন নানা ধরনের গান ও নাচ পরিবেশিত হবে। ভাওয়াল ক্লাবের পক্ষ থেকে ২০২৩ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত দুজন এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকপ্রাপ্ত একজনকে সম্মাননা দেওয়ারও আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি আগামীতেও আমরা এই আয়োজন চালিয়ে যেতে পারবো।’
জয়িতা জানান, তিন দিনের এ উৎসব উদ্বোধন করবেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। পৃষ্ঠপোষকতায় আছেন তারানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ফারুকসহ স্থানীয়রা।
‘ফাল্গুন উৎসব ১৪২৯’-এর প্রথম দিনে (২ মার্চ) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কিংবদন্তি অভিনেতা ও নাট্যজন মামুনুর রশীদ। উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করবেন সাদিয়া ইসলাম মৌ ও তার দল। এদিন সম্মাননা প্রদান করা হবে অভিনয় ও কণ্ঠশিল্পী শিমুল ইউসুফকে। থাকছে প্রাচ্যনাটের মঞ্চনাটক ‘সার্কাস সার্কাস’র মঞ্চায়ন। সবশেষে গান শোনাবেন চন্দনা মজুমদার।
দ্বিতীয় দিনের (৩ মার্চ) কার্যক্রম শুরু হবে নালন্দা বিদ্যালয়ের বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে। এরপর র্যাচেল পেরিসের নৃত্য, তানভীর আলম সজীবের নজরুল সংগীত, ফারহিন খান জয়িতার রবীন্দ্র সংগীত ও ব্যান্ড ‘চিরকুট’র পরিবেশনা থাকছে। মাঝে সম্মাননা প্রদান করা হবে অভিনেতা ও বাচিক শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়কে।
শেষ দিনের (৪ মার্চ) প্রথম পরিবেশনায় থাকবেন কেরানীগঞ্জের স্থানীয় শিল্পীরা। সম্মাননা দেওয়া হবে সদ্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানকে। এরপর ব্যান্ড ‘মিজান অ্যান্ড ব্রাদার্স’র পারফর্মেন্স এবং শেষে ফোকসম্রাজ্ঞী মমতাজের গানে সমাপ্তি ঘটবে উৎসবের।
আয়োজকরা জানান, উৎসবটি সবার জন্য উন্মুক্ত। তাই যে কেউ চাইলেই এখানে অংশ নিতে পারবেন, উপভোগ করতে পারবেন নাচ-গানের নান্দনিক পরিবেশনা।