সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল হ্যান্ডেলের পাতা খুললেই দেখা যায় খারাপ কিংবা নেতিবাচক খবরের ছড়াছড়ি। সঙ্গে কাদা ছোড়াছুড়ি, বিতর্ক-সমালোচনা আর নিন্দার গল্পগাথা। তারকাদের সামাজিক কিংবা মানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও নেতিবাচক শব্দের মিছিল লেগে থাকে হরহামেশা। কিন্তু এসব নেতিবাচক ঝড়ের ভেতরে কি কোনও ইতিবাচক বিষয় নেই? যা নিন্দা-সমালোচনার স্রোতের বিপরীতে ভালো-আলোর দিকে উৎসাহিত করবে ভক্ত কিংবা সমাজকে। থাকলে সেটা কেমন? এবারের ঈদ বিশেষ আয়োজনে শোবিজ তারকাদের কাছ থেকে তেমন কিছুই জানার চেষ্টা করেছে বাংলা ট্রিবিউন। এ পর্বে রইলো অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের দৃষ্টিভঙ্গি।
নেগেটিভ চর্চা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অব্দি ব্যবহার করেন না ফারিণ। তার ভাষ্য, ‘পজিটিভ জিনিস যে নেই, এমন না। কিন্তু পজিটিভ জিনিস যেভাবে হাইলাইট হয়, নেগেটিভগুলো তার চেয়ে অনেক বেশি হাইলাইট হয়। যার কারণে নেগেটিভের ভিড়ে পজিটিভ চাপা পড়ে যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে পজিটিভ থাকতে এবং ভাবতে পছন্দ করি। নেগেটিভ কোনও কিছুতে জড়াই না। এজন্য আমি ফেসবুকও ব্যবহার করি না। কারণ, এই প্ল্যাটফর্মটাকেই আমার অনেক নেগেটিভ লাগে।’
ফেসবুক নিয়ে অনাগ্রহের কারণ জানিয়ে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘এখানে যে যার মতো বলার একটা ব্যাপার আছে। হ্যাঁ, সবারই বলার স্বাধীনতা আছে। কিন্তু তারপরও আমরা এত বেপরোয়া হয়ে যাই! একটা কথা বলার আগে ভাবি না যে সেটার প্রভাব কী হবে। এসব কারণে আমি নিজে এটা এড়িয়ে চলি। আমার জীবনযাত্রা একটু ব্যতিক্রম।’
ফেসবুক নিয়ে বেশ নেতিবাচক ফারিণ। তবে এতে তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল না থাকলেও, রয়েছে একটি মজবুত ভেরিফায়েড পেইজ। যেখানে তিনি অথবা তার টিম নিয়মিত কাজের আপডেট ও নানাবিধ প্রতিক্রিয়া ও ছবি প্রকাশ করে থাকেন।
নিজের ক্যারিয়ার ও কর্মজীবনে ইতিবাচকতা প্রসঙ্গে ফারিণের বক্তব্য, ‘আমার সবই পজিটিভ। আমার জীবনে কোনও আক্ষেপ নেই। যা-ই করি না কেন, প্রত্যেকটার পেছনে কারণ আছে। প্রতিটি কাজেই আমি কিছু না কিছু শিখি। নিজের কাজটা নিষ্ঠার সঙ্গে করার চেষ্টা করি। কারও কাছে ভালো লাগতে পারে, কারও না। কিন্তু আমার কাছে সব কাজই প্রিয়। সব কাজই আমি পজিটিভলি দেখি।’
এই ঈদে একাধিক নাটকে পর্দায় থাকছেন ফারিণ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হলো ভিকি জাহেদের নির্মাণে ‘শব্দপ্রেম’; এতে তার সহশিল্পী তৌসিফ মাহবুব। অন্যটি রাফাত মজুমদার রিংকুর পরিচালনায় ‘নোঙর’; যেখানে তার বিপরীতে রয়েছেন ফারহান আহমেদ জোভান।