কবিতা থেকে গান; বিষয়টি যতটা অনিন্দ্য, ততটাই কঠিন। তবু এই কঠিন চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের একাধিক তরুণ শিল্পী। কিন্তু সেটা অডিও কিংবা ভিডিও গানে। সিনেমার গানে এমনটা বিরল বটে। সেই বিরল ঘটনা ঘটলো নির্মাণাধীন ‘নয়া মানুষ’ ছবির ক্ষেত্রে। এই ছবির জন্য কবিতা থেকে একটি গান বানানো হয়েছে।
কবিতার নাম ‘পুরো মানুষের গান’। এটি খ্যাতিমান কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ কাব্যগ্রন্থের কবিতা। এতে সুর দিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী সুরকার বেলাল খান। গানটি গেয়েছেনও তিনি। সংগীতায়োজনে শোভন রয়।
মজার ব্যাপার হলো, আজ বুধবার (২১ জুন) কবির জন্মদিন। আর এই বিশেষ দিনেই খবরটি প্রকাশ্যে আনলেন ‘নয়া মানুষ’ সংশ্লিষ্টরা।
গানটি নিয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, ‘এই কঠিন কবিতার বাণীকে সুরের শিকলে বাঁধা কঠিন। কঠিন কাজটি করার জন্য সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও চলচ্চিত্রটির নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। গানটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।’
সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী বেলাল খানের ভাষ্য, ‘কবিতাকে গানে রূপ দেয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল আমার জন্য। তবে আমি খুব আনন্দিত এই কারণে যে কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা দিয়ে অদ্ভুত সুন্দর একটা সুর তৈরি করতে পেরেছি এবং আমি পরিতৃপ্ত। আমার বিশ্বাস এই গানটি মানুষ অনেক দিন মনে রাখবে।’
অন্যদিকে ‘নয়া মানুষ’ সিনেমার নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদ পথিক দাদার সঙ্গে কাজ করার সুবাদে কবি নির্মলেন্দু গুণ দাদার সঙ্গে মেশার সুযোগ পাই। একদিন তাকে জানালাম, আমার প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গানের কথা প্রয়োজন, বিষয়বস্তু জেনে দাদা ‘পুরো মানুষের গান’ কবিতাটি আমাকে দিয়ে বললেন- ‘প্রথম দুটি স্তবক থেকে গানটা করতে পারো, খুব ভালো হবে তোমার ছবির থিম সং’। তিনি যে ভালোবাসা ‘নয়া মানুষ’ চলচ্চিত্রকে দিলেন, তা আমাদের টিমকে সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছে।”
আ. মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ‘নয়া মানুষ’। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি ও শিশুশিল্পী ঊষসী। ইতোমধ্যে ছবির চিত্রায়ণ শেষ হয়েছে। চলছে পোস্ট প্রডাকশন। সেটা শেষ হলেই আসবে মুক্তির বার্তা।