X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১
ভালোবাসার ঘরে প্রথম ভ্যালেন্টাইনস ডে

‘আমরা পাবলিক প্লেসে ঘুরতে যাবো’

মাহমুদ মানজুর
মাহমুদ মানজুর
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৪আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৭

প্রতিটা দিনই হোক ভালোবাসাময়; এই প্রত্যাশা সকলের। তবু একটা দিন ঘটা আয়োজনে ভালোবাসার উদযাপন মন্দ নয়। প্রিয়জনের নামে দিনটা উৎসর্গ করা কিংবা বাড়তি কিছু করে খুশির নৌকায় একটা বিকেল পার করা দোষের কী! হয়ত তাই, বুধবারের (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিনটা অন্যান্য বিকেলের চেয়ে একটু বেশেই রঙিন হবে; দেশজুড়ে প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা ভালোবাসার মানুষের মুখর পদচারণায়।

আড়াই বছরের প্রেম পর্ব শেষে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন লেখক-নির্মাতা আবু সাইয়িদ রানা ও অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। ফলে দুজনের জন্য এবারের ভ্যালেন্টাইনস ডে (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মৌসুমী-রানা দম্পতিকে যখন দিনটি নিয়ে পরিকল্পনার কথা জিজ্ঞেস করা হয়, ঠিক তখনই সকালের নাশতা তৈরিতে ব্যস্ত টোনা-টুনি। মৌসুমী জানান, রানা তার জন্য এখন রুটি সেঁকছেন। বিপরীতে স্বামীর জন্য আলু ভাজি নিয়ে ব্যস্ত স্ত্রী!

নাশতার পর্ব শেষে কথা হলো এই দম্পতির সঙ্গে। জানান, ভালোবাসা দিবস নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ও প্রতিক্রিয়ার কথা।

রানা জানান, ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) তারা বিশেষ কোনও কাজ রাখেননি। তবে সকালে রানার ছোট্ট একটা মিটিং রয়েছে সিনেমা নিয়ে। অন্যদিকে মৌসুমী পুরো দিনটাই তুলে রেখেছেন ভালোবাসাবাসির জন্য। তবে আবু সাইয়িদ রানা পুরো বিকেলটা তুলে রেখেছেন স্ত্রীকে সারপ্রাইজ ট্যুর দেওয়ার জন্য।

মৌসুমী হামিদ ও আবু সাইয়িদ রানা বরের কণ্ঠে সারপ্রাইজের কথা শুনতেই, গলে পড়লেন স্ত্রী। নিজেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভ্যালেন্টাইনস বিকেলে (১৪ ফেব্রুয়ারি) তুমি আমাকে কোথায় ঘুরতে নিয়ে যাবা?’ জবাবে একদমই লুকোচুরি করলেন না রানা। এবং যেটা বললেন, সেটা সত্যিই অন্যরকম।

মৌসুমীর প্রতি রানার ভাষ্যটি ছিলো এমন, ‘বিকেলে আমরা পাবলিক প্লেসে ঘুরতে যাবো! কারণ, এতোদিন যেখানে আমরা একসঙ্গে যাইনি বা যেতে পারিনি। সেটা হতে পারে টিএসসি। সেখানে আমরা সবার সামনে একসঙ্গে ঘুরবো, ফুচকা খাবো। আড্ডা মারবো। যেখানে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন বা গুঞ্জন উঠবে না আর।’

দুষ্টুমি করতেও ছাড়লেন না। বরের প্রতি মৌসুমীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘ওখানে তো সব প্রেমিক-প্রেমিকা পাবলিক প্লেসে বসে...।’ রানার তড়িৎ জবাব, ‘হুম। আমরাও ওদের মতো বসে পড়বো ফুটপাতে...।’

অনুমান করা যায়, বরের এমন ন্যাচারাল প্রেম-প্রীতিতে গদগদ স্ত্রী!

এরপর সিরিয়াস চরিত্রে ফিরলেন মৌসুমী হামিদ। বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘আমার আসলে কপালটাই কেমন। জীবনে একটা ভ্যালেন্টাইনস ডে-ও পালন করা হয়নি। বিয়ের পর জামাইয়ের ভ্যালেন্টাইনস প্ল্যান শুনে তো আমি অবাক ও হতাশ। এখন দেখার পালা পাবলিক প্লেসে জামাইয়ের সারপ্রাইজ ভিজিট কেমন হয়!’  

আবু সাইয়িদ রানা ও মৌসুমী হামিদ এরপর ঘরকুনো স্বভাবের কথাটাও জানান দিলেন অভিনেত্রী। বললেন, ‘‘সত্যি বলতে সেজেগুজে বিশেষ দিনে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পক্ষের মানুষ আমি না। ধরেন, আমার জামাই যদি আজ বলতো, ‘চলো বেবি ব্যাংকক ঘুরে আসি ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে’। তাতে আমি আরও অখুশি হতাম। এরচেয়ে বরং টিএসসিটাই বেটার। এমন বিশেষ দিনে আমি চাই, নিজেদের মধ্যে নিরিবিলি আরও সময় কাটাতে। নিজেদের আরও বুঝতে। একে অপরের পছন্দের খাবার তৈরি করে খাওয়াতে। নিজেদের গল্পগুলো শেয়ার করতে। কারণ, এমন দিনে এতো এতো মানুষ বাইরে বের হয়- আমি এসবে স্বস্তি বোধ করি না। তাই এমন দিনে বাইরে গিয়ে ফুসকা খাওয়ার চেয়ে, ঘরে বসে টমেটো সালাদ খাওয়ায় অনেক স্বস্তি। এতে করে ছোট ছোট মুগ্ধতাগুলো তৈরি হয় বলে আমার ধারণা। যেমন আমি তো কাল ওর সবচেয়ে পছন্দের খাবারটা রান্না করে খাওয়াতে চাই। এটা সারপ্রাইজ, ওকে এখনই বলতে চাই না!’’      

এদিকে আগেই প্রেম করে বিয়ে প্রসঙ্গে মৌসুমী হামিদ বলেছিলেন, ‘প্রায় আড়াই বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক। তো একপর্যায়ে দুজনেরই মনে হয়েছে সম্পর্কটাকে পূর্ণতা দেওয়া যায়। এরপর পরিবারকে জানাই, তারাও সম্মতি দেয়। সেই মোতাবেক বিয়ে করেছি আমরা।’

সেই সূত্রে প্রশ্ন উঠলো, প্রেমের সিঁড়ি পেরিয়ে সংসার পর্বে ঢোকার পর কী মনে হচ্ছে? প্রেমটাই মধুর ছিলো নাকি সংসার! জবাব দিলেন মৌসুমী। বললেন, ‘দুই পর্বের অনুভূতি কাছাকাছি হলেও একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। সংসার বিষয়টা আসলে মানসিক প্রশান্তির। অদ্ভুত একটা নির্ভার ও নির্ভরতা কাজ করে মনে। যেটা সংসার না করলে টের পাওয়া যায় না।’

হ্যাঁ, এবার সত্যিই স্যুট করেছে। আর তাই রানার সঙ্গেই বাঁধলেন ঘর। জানালেন, কাটছে তাদের ভালোই।

আবু সাইয়িদ রানা ও মৌসুমী হামিদ বলা দরকার, এক যুগ আগে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে আত্মপ্রকাশ করেন মৌসুমী হামিদ। এরপর বিভিন্ন নাটক ও সিনেমায় কাজ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সু-অভিনেত্রী হিসেবে। মৌসুমীর বর আবু সাইয়িদ রানা লেখালেখি ও নির্মাণের সঙ্গে জড়িত। রানার লেখা ‘রূপকথা নয়’ ও ‘গুটি’ কনটেন্টে কাজ করেছেন মৌসুমী হামিদ নিজেও।

/এমএম/
সম্পর্কিত
ভাষার মাসে প্রেক্ষাগৃহে ফিরলো মুক্তিযুদ্ধের দিন
এ সপ্তাহের ছবিভাষার মাসে প্রেক্ষাগৃহে ফিরলো মুক্তিযুদ্ধের দিন
আড়াই বছর প্রেমের পর মৌসুমী হামিদের বিয়ে
আড়াই বছর প্রেমের পর মৌসুমী হামিদের বিয়ে
‘প্রথম যেবার ভোট দিয়েছিলাম, সেই পরিবেশটা চাই’
তারকা যখন ভোটার‘প্রথম যেবার ভোট দিয়েছিলাম, সেই পরিবেশটা চাই’
কবিতা থেকে সিনেমার জন্য গান
কবিতা থেকে সিনেমার জন্য গান
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
প্রেক্ষাগৃহ থেকে না নামতেই উঠলো পাঠ্যসূচিতে!
প্রেক্ষাগৃহ থেকে না নামতেই উঠলো পাঠ্যসূচিতে!
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা
ফুরফুরে মেজাজে পান্নু
ফুরফুরে মেজাজে পান্নু