X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

‘হাওয়া’ দেখে হতাশ অঞ্জন দত্ত, দিলেন রিভিউ

বিনোদন ডেস্ক
০৯ জুলাই ২০২৩, ০০:২৩আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৭:২৫

ঢালিউডে ঝড় তোলা সিনেমা ‘হাওয়া’। গত বছর মুক্তি পাওয়া এই সিনেমা বিপুল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। এমনকি দেশের বাইরে, কলকাতায়ও ছবিটি ঘিরে উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল। অধিকাংশ দর্শক-সমালোচকের কাছ থেকে এসেছিল প্রশংসার বাণী। কিন্তু কলকাতার কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী, নির্মাতা-অভিনেতা অঞ্জন দত্ত দিলেন হতাশার প্রতিক্রিয়া। তিনি জানালেন, ‘হাওয়া’ তার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
 
গত ৭ জুলাই ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘সনি লিভ’-এ মুক্তি পেয়েছে ‘হাওয়া’। সেই সুবাদে ছবিটি দেখেছেন অঞ্জন দত্ত। এরপর নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন লম্বা রিভিউ। অঞ্জনের ভাষ্য, “অবশেষে ‘হাওয়া’ দেখলাম। বড় বাজেট এবং প্রাণবন্ত কনসেপ্ট থাকা সত্ত্বেও মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ছবিটি আমার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। যেটা হতে পারতো পুরুষ আধিপত্যের জগৎকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার আধুনিক এবং সিনেমাটিক উপস্থাপনা, সেটা সামান্য একটা প্রতিশোধের নাটকে পরিণত হয়েছে!”

অঞ্জন দত্তের মতে, ‘হাওয়ার’ গল্পটি অনেকটা সমরেশ বসুর গল্প ‘উরাতীয়া’র ইস্যুতে আবর্তিত হয়েছে। তবে সেটা খেই হারিয়েছে ক্লাইম্যাক্সে। ‘রঞ্জনা’ খ্যাত গায়ক ও নির্মাতা বললেন, “ছবিতে একেবারে বাস্তবসম্মতভাবে তিনি (সুমন) পুরুষদের লোভ ও শক্তির দুর্দান্ত একটি জগৎ তৈরি করেছেন। আমি অপেক্ষায় ছিলাম, একজন নারীর আগমন ঘটবে এবং সে এই দুঃখী, নিঃসঙ্গ জগৎকে ধ্বংস করবে। তিনি (নারী) যথাসময়ে হাজির হয়েছেন। কিন্তু তিনি অর্থাৎ গুলতি (নাজিফা তুষি) সবচেয়ে যত্নহীনভাবে গড়া চরিত্র, তার সাদামাটা অভিনয় এবং পেছনের গল্প; যেটা বাকি সিনেমার সঙ্গে যায় না। গল্পের শক্তিকে নষ্ট না করেই তিনি রূপক হয়ে থাকতে পারতেন। তাকে সাপে রূপান্তর করা একটা উদ্ভট উপসংহার, যেটা প্রায়শ কোরিয়ান সিনেমায় দেখা যায়; এবং এটা অসাধারণ একটি কনসেপ্টকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

গুলতি চরিত্রে নাজিফা তুষি ইতিবাচক দিক নিয়ে প্রশংসাও করেছেন অঞ্জন দত্ত। বলেছেন, “দুর্দান্ত চিত্রায়ণ। ‘হাওয়া’ এমন একটি সিনেমা, যেটা পুরুষদের মধ্যকার জটিলতা সুন্দর তবে ভয়ংকর এক সমুদ্রের মাঝে একটি নৌকার শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ ধারণ করেছে। ভিএফএক্স যা-ই হোক না কেন, প্রতিটা দৃশ্য দারুণ চিন্তাশীলতার প্রমাণ দেয়।”

নাজিফা তুষি ছাড়া ছবির প্রত্যেক পুরুষ অভিনেতার কাজে মুগ্ধ হয়েছেন অঞ্জন। অকপটে বললেন, ‘প্রত্যেক পুরুষ চরিত্রের শিল্পী দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। সূক্ষ্ম অথচ দুর্দান্ত খলনায়কের ভূমিকাটি আশ্চর্যজনকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন চঞ্চল চৌধুরী। এই পর্যন্ত এটা তার সবচেয়ে প্রশংসনীয় কাজ; অন্তত আমার দেখা মতে। আমি তার বেশ কিছু কাজ দেখেছি। হ্যাটস অফ চঞ্চল। সোহেল মণ্ডল, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসিরউদ্দিন খান, রিজভি রিজু, মাহমুদ আলম ও বাবলু বোস সবার নাম নেওয়া প্রয়োজন। প্রত্যেকে অসাধারণ! ব্রিলিয়ান্ট! তারা গল্পের প্রবাহ ধরে রেখেছেন।’

ছবির পুরুষ চরিত্র ছবির আরও একটি দিক অঞ্জন দত্তের কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে, তা হলো দৈর্ঘ্য। তার মতে, ‘হাওয়া’র দৈর্ঘ্য আরও কমানো যেতো। তবে দীর্ঘ হলেও অন্যদের ছবিটি দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

/কেআই/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
শাকিবের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা অন্যরকম: চঞ্চল
শাকিবের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা অন্যরকম: চঞ্চল
ওটিটি: দুই উৎসব, দুই সিনেমা, দুই সিরিজ
ওটিটি: দুই উৎসব, দুই সিনেমা, দুই সিরিজ
চঞ্চল বনাম চঞ্চল!
চঞ্চল বনাম চঞ্চল!
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
জন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি
৩৫তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবজন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
কান উৎসব ২০২৪উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র