বয়স হয়েছিল মাত্র ২৫ বছর। এর মধ্যেই একাধিক সিরিজ ও সিনেমায় কাজ করে সম্ভাবনার জানান দিয়েছেন। কিন্তু আচমকা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তিনি মার্কিন অভিনেতা অ্যাংগাস ক্লাউড। সোমবার (৩১ জুলাই) ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে নিজ বাসায় মারা গেছেন তিনি।
তবে ক্লাউডের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানায়নি তার পরিবার। কেবল দুঃসংবাদটি নিশ্চিত করে বলেছে, ‘একজন অসাধারণ মানুষকে আজ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাদের বিদায় জানাতে হচ্ছে। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। এখন শুধু একটাই সান্ত্বনা যে, অ্যাংগাস ও তার বাবার পুনর্মিলন ঘটেছে।’
গত মে মাসে বাবাকে হারিয়েছেন অ্যাংগাস ক্লাউড। এরপর থেকেই তিনি বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। আত্মহত্যার চিন্তাও তার মাথায় হানা দিচ্ছিল। সেই জটিলতার সঙ্গে লড়ছিলেন তিনি। দুই সপ্তাহ আগেও বাবার একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার দিয়ে লিখেছিলেন, ‘তোমাকে মিস করছি।’
অ্যাংগাস ক্লাউড পরিচিতি পেয়েছেন এইচবিও চ্যানেলের জনপ্রিয় সিরিজ ‘ইউফোরিয়া’তে অভিনয় করে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ‘অ্যাংগাসের মৃত্যুতে আমরা সত্যিই শোকস্তব্ধ। তিনি অত্যন্ত মেধাবী এবং আমাদের পরিবারের প্রিয় এক সদস্য ছিলেন। তার পরিবারের এই কঠিন সময়ে আমাদের সমবেদনা রইলো।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১০ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন অ্যাংগাস ক্লাউড। নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন তিনি। ওই সময় ‘ইউফোরিয়া’র নির্মাতা জেনিফার ভেনদিতির নজরে পড়েন। সেই সূত্রেই সিরিজটিতে কাজ পান। এতে তিনি ফেজো চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এছাড়া অ্যাংগাস ক্লাউড অভিনয় করেছেন ‘নর্থ হলিউড’ ও ‘দ্য লাইন’ সিনেমায়। তার অভিনীত আরও তিনটি সিনেমা রয়েছে নির্মাণের শেষ পর্যায়ে।
সূত্র: বিবিসি