‘বাহুবলী’ দিয়ে অসামান্য খ্যাতি পাওয়ার পর যেন কোমর শক্ত করে আর দাঁড়াতে পারছেন না ভারতের দক্ষিণী তারকা প্রভাস। তার একের পর এক সিনেমা ব্যর্থতার কাতারে সামিল হচ্ছে। তবে সর্বশেষ ‘আদিপুরুষ’ যেন অতীতের সব ব্যর্থতাকে ছাপিয়ে গেলো। একদিকে বক্স অফিসে ভরাডুবি, অন্যদিকে দর্শক-সমালোচকদের কড়া সমালোচনা। অথচ ওম রাউত পরিচালিত এই সিনেমা বানাতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৭০০ কোটি রুপি।
মজার ব্যাপার হলো, এই সিনেমার বাজেটের চেয়েও কম অর্থে চন্দ্র জয় করে ফেলেছে ভারত। বুধবার (২৩ আগস্ট) চাঁদের বুকে পা রেখেছে ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান-৩। ঐতিহাসিক এই মিশনের বাজেট ৬১৫ কোটি রুপি। যা ‘আদিপুরুষ’ সিনেমার বাজেটের চেয়েও অনেক কম।
তাই ফের সমালোচনার টেবিলে প্রভাস ও ‘আদিপুরুষ’ টিম। নেটিজেনদের অনেকেই তাদের তুলোধুনা করছেন। তাদের মতে, এরকম সিনেমার পেছনে টাকা না ঢেলে বিজ্ঞানীদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হলে তবেই দেশ এগিয়ে যাবে।
নিজ দেশের চন্দ্রজয়ের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রভাস। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, “ইসরোকে (ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা) অনেক অভিনন্দন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে চন্দ্রযান-৩ অবতরণের জন্য। হিন্দুস্তানের জয়।’
প্রভাসের ভক্তরা অবশ্য ভিন্ন আঙ্গিকে প্রত্যাশা দেখছেন। ২০১৯ সালে প্রভাস অভিনীত সিনেমা ‘সাহো’ ব্যর্থ হয়েছিল। ওই বছর ভারতের ‘চন্দ্রযান-২’ মিশনও ব্যর্থ হয়। এবার ২০২৩-এ চাঁদ অভিযান সফল হলো; তাই তারাও আশা করছেন অভিনেতার নতুন সিনেমা ‘সালার’ বক্স অফিসে বাজিমাত করবে।
কিন্তু বলিউড লাইফের রিপোর্ট অনুযায়ী, নেটিজেনদের অধিকাংশই প্রভাসকে কটাক্ষ করছেন। কেউ প্রশ্ন তুলছেন, ‘কেন এই দেশে নায়ক-নায়িকাদের এত গুরুত্ব দেওয়া হয়’, আবার কারও মতে, ‘আসল সুপারস্টার বলা উচিত বিজ্ঞানীদের’।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রভাসের হাতে দুটি সিনেমা রয়েছে। এর মধ্যে প্রশান্ত নীল পরিচালিত ‘সালার’ মুক্তি পাবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। আরেকটি সিনেমার নাম ‘কল্কি ২৯৮৯ এডি’। নাগ অশ্বিনের নির্মাণে ছবিটির কাজ এখনও চলছে।