আলাদা তারা আগে থেকেই হয়ে আছেন। বাকি ছিল কেবল কাগজ-কলমে আনুষ্ঠানিকতা। এবার সেটাও সেরে নিলেন। চিত্রনায়ক শরিফুল রাজকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এমনটাই শোনা যাচ্ছে নায়িকার ঘনিষ্ঠ সূত্রে।
ইঙ্গিতটা অবশ্য পরীমণি ক’দিন আগেই দিয়েছিলেন। কেউ আঁচ করতে পেরেছিল, কেউ পারেনি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘কালকের (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনটা আমার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন! একটি… (স্বাক্ষরের ইমোজি)। আল্লাহ ভরসা।’
এটা দেখে কেউ কেউ ধারণা করেছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে বড় কোনও সিদ্ধান্তই নিতে চলেছেন পরী। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও রাজ কিংবা পরীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কারণ, পরী তার ফোন বন্ধ রেখেছেন, আর রাজ বরাবরের মতোই নির্বিকার।
তবে এর আগে বিভিন্ন সূত্রে খবর মিলেছে, রাজ বরাবরই অটল ছিলেন তার পক্ষ থেকে ডিভোর্স লেটার না পাঠানোর। চেয়েছেন চিঠিটি পরীর পক্ষ থেকেই আসুক। সেটাই যেন এবার হলো!
এদিকে প্রসঙ্গটি নিয়ে রাজের ঘনিষ্ঠজন বলছেন, নায়ক এখন ব্যস্ত আছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’ সিনেমার শুটিংয়ে। পরীর ডিভোর্স লেটার পাঠানোর খবর তার কানে গেলেও হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না।
বলা প্রয়োজন, মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন রাজ-পরী। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। অতঃপর অম্ল-মধুর গল্পে দ্বৈত পথচলা। তবে সেই পথে বারবার হোঁচট খেয়েছে তাদের সম্পর্ক। কখনও বিদ্যা সিনহা মিম, কখনও সুনেরাহ বিনতে কামালকে ঘিরে রাজের সঙ্গে পরীর তুলকালাম হয়েছে।
সবশেষ গত ২০ মে পরীমণির বাসা থেকে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে আসেন রাজ। এরপর ২৯ মে রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সুনেরাহ, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে বেশ কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি-ভিডিও ফাঁস হয়। সেই ঘটনায় দুজনের মধ্যে দূরত্বের দেয়াল আরও পোক্ত হয়। ছেলেকে ঘিরে তাদের পুনরায় একসঙ্গে দেখা গেলেও সম্পর্কের সুতো আর জোড়া লাগেনি।
গেলো বছরের ১০ আগস্ট পরী ও রাজের ঘর আলো করে আসে পুত্র শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। তাকে ঘিরেই আপাতত পরীর জীবন।