না, সচরাচর এমন ঘটনা ঘটে না। গত দেড় দশকে যিনি বলিউডের অঘোষিত রানি হয়ে উঠেছেন, সেই দীপিকা পাঠিয়েছেন বিশেষ উপহার; তাও আবার এক বাঙালি অভিনেত্রীকে। বিরল এই আনন্দ অনুভূতির সাক্ষী হলেন টলিউডের ঋতাভরী চক্রবর্তী। তাকেই ব্যাগভর্তি উপহার পাঠিয়েছেন বলিউডের ‘পিকু’।
কিন্তু আসল ব্যাপারটা কী? দীপিকার সঙ্গে কি ঋতাভরীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে? এমন কিছু তো শোনা কিংবা দেখা যায়নি অতীতে। তাহলে?
উত্তরটা দিলেন ঋতাভরী। আনন্দবাজার পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘আসলে দীপিকার প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান নারী দিবস উপলক্ষে এমন কিছু নারীকে উপহার পাঠাতে চেয়েছে, যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করেছেন। সেই উদ্দেশ্যেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম, হয়তো আমার স্টোরিতে তার প্রসাধনীর বিজ্ঞাপনের জন্য কিছু লিখতে হবে। তবে তেমন কিছুই না। একদম নিঃস্বার্থ উপহার এটা।’
তবে আনন্দটা নিজের মধ্যে চেপে রাখতে পারেননি ঋতাভরী। তাই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আমি ভীষণ খুশি। পাশাপাশি এটাও মনে হচ্ছে, দীপিকার মতো এমন একজন তারকাও নতুন প্রজন্মের জন্য ভাবছেন এবং তাদের উৎসাহিত করছেন। আসলে অন্য যে সব তারকার এমন প্রসাধনী ব্র্যান্ড রয়েছে, তারা হালকা করে এ কথা ছুঁয়ে যান, যাতে তাদের প্রচারটা হয়। দীপিকা একেবারেই সে রকম নন। আমি এটাই শিখলাম তার কাছ থেকে যে, সব কিছু জীবনে নিজের লাভের জন্য নয়, অন্যদের উৎসাহ দেওয়াটাই বিশালতার লক্ষণ।’
টলিউডের পাশাপাশি বলিউডেও ঋতাভরীর নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। বিভিন্ন আয়োজনে তাকে দেখা যায়। তবে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে কেবল একবারই সাক্ষাৎ হয়েছিল বলে জানান তিনি। সেটা ২০১৮ সালে প্রযোজক-নির্মাতা দীনেশ বিজনের বিয়েতে। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের আলাপ হয়েছিল তখন। এরপর আর কখনও কথা কিংবা সাক্ষাৎ হয়নি। এবার একেবারে উপহার সমেত যোগাযোগ।
উল্লেখ্য, দীপিকার প্রসাধনী ব্র্যান্ডের নাম ‘৮২° ইস্ট’। এই ব্র্যান্ডের কিছু পণ্যই পাঠানো হয়েছে ঋতাভরীর কলকাতার ঠিকানায়।
এদিকে দীপিকা সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি মা হচ্ছেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তিনি ও তার স্বামী, অভিনেতা রণবীর সিং একত্রে জানিয়েছেন যে, আগামী সেপ্টেম্বরেই তাদের ঘরে আসছে নতুন সদস্য। ফলে আগামী কয়েক মাস কিংবা এ বছরে দীপিকাকে নতুন কাজে পাওয়া যাবে না, এটা অনুমেয়। 
