সংখ্যার বিচারে অবিশ্বাস্য কম। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে মাত্র ১৫টি প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে সংস্কৃতি উপদেষ্টা তথা আলোচিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমা ‘৮৪০’। বিপরীতে একই দিনে দেশের ২৫ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে বাপ্পী চৌধুরী অভিনীত ‘ডেঞ্জার জোন’।
‘৮৪০’ সিনেমাটির জন্ম হয়েছে ২০০৭ সালের তুমুল আলোচিত পলিটিক্যাল স্যাটায়ার টিভি ধারাবাহিক ‘৪২০’-এর রেশ ধরে। অন্যদিকে সায়েন্স ফিকশন ও ভৌতিক গল্পনির্ভর ‘ডেঞ্জার জোন’ নির্মাণ করেছেন বেলাল সানী। ‘৮৪০’-এর আশাতীত হল সংখ্যা কমের বিষয়ে সরাসরি কোনও বক্তব্য মেলেনি প্রযোজক নুসরাত ইমরোজ তিশা কিংবা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পক্ষে। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ইচ্ছে করেই হলের সংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছে। চেষ্টা ছিলো দেশের মানসম্মত হলগুলোতে ছবিটি সম্প্রচারের। অতীতের মতো সরকার কিংবা প্রশাসনের প্রভাব খাটিয়ে হল সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টাও ছিলো না ‘৮৪০’-এর পক্ষ থেকে।
সেই সূত্রে দেশের সবচেয়ে আধুনিক মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সের ঢাকা ও চট্টগ্রামের ছয়টি শাখায় দেখা যাবে সিনেমাটি। এছাড়াও ঢাকার ব্লক বাস্টার সিনেমাস ও শ্যামলী সিনেমা, সিলেটের গ্র্যান্ড মুভি থিয়েটার, নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন ও সুগন্ধা সিনেমা, রাজশাহীর গ্র্যান্ড রিভারভিউ, বগুড়ার মম ইন এবং পাবনার রূপকথায় সিনেমাটি দেখা যাবে প্রথম সপ্তাহে। এরমধ্যে প্রকাশ হয়েছে ছবিটি পোস্টার ও ট্রেলার। হয়েছে প্রিমিয়ার শো। যা দেখে বেশ শোরগোল তৈরি হয়েছে দর্শকদের মধ্যে।
এতে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, মারজুক রাসেল, ফজলুর রহমান বাবু, জাকিয়া বারী মমসহ রাজশাহী ও নওগাঁর বেশ কিছু স্থানীয় অভিনয়শিল্পী।
সিনেমাটি প্রসঙ্গে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মন্তব্য এমন, ‘ট্রেলার দেখে দর্শক যেমন বুঝতে পারছেন, বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশটা কেমন ছিল, সেটা একটা জেলা শহরের মধ্য দিয়ে আমরা দেখাতে চেয়েছি। এটাকে আমরা বলতে পারি, আওয়ামী দুঃশাসনের এক্স-রে রিপোর্ট। আমি বিশ্বাস করি, এই দুঃশাসন নিয়ে আরও এক্স-রে রিপোর্ট সামনে হবে।’ আরও বলেন, ‘সিনেমার কাজ তো বাস্তব থেকে মধু আহরণ করে পর্দায় উপস্থাপন করা। এটার শুটিং করেছি ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে, তখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। তার সব ফ্যাসিবাদী যন্ত্রও ক্ষমতায়। এটা ঠিক যে শুটিং করার সময় আমরা আশঙ্কার মধ্যে থাকতাম। আমরা যে চিত্রনাট্য নিয়ে শুটিং করছি, এটা যদি কেউ টের পেয়ে যায়, তাহলে আমাদের কী হবে!’
সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, সঙ্গে থাকছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। চিত্রগ্রহণ করেছেন শেখ রাজিবুল ইসলাম, সংগীত পরিচালনায় ছিলেন পাভেল আরিন ও সাউন্ড ডিজাইনার রিপন নাথ। সম্পাদনায় তাহসিন মাহিম ও শিল্প পরিকল্পনা করেছেন ইব্রাহিম এইচ বাবু। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন পূজাঞ্জলি চৌধুরী ও মেক-আপ এ ছিলেন মোঃ খাইরুল ইসলাম।
এদিকে শুটিংয়ের পাঁচ বছর পর মুক্তি পাচ্ছে বাপ্পী চৌধুরী অভিনীত সিনেমা ‘ডেঞ্জার জোন’। সায়েন্স ফিকশন ও ভৌতিক গল্পনির্ভর এই ছবি পরিচালনা করেছেন বেলাল সানী। এটি তার প্রথম ছবি। ছবিটির মুক্তির জন্য চলতি মাসের ১০ তারিখে সেন্সরের ছাড়পত্র হাতে পেয়েছেন পরিচালক। যাতে বাপ্পীর নায়িকা হিসেবে আছেন জলি।
সর্বশেষ ‘শত্রু’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল বাপ্পীকে। কিন্তু তারপর আর নতুন কোনও কাজে পাওয়া যায়নি তাকে।