X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

৪২ মিনিট হৃদস্পন্দন বন্ধ থাকা ব্যক্তির বেঁচে যাওয়ার গল্প

বিদেশ ডেস্ক
১৮ জুলাই ২০১৭, ২১:২০আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৭, ২১:২৫
image

৩৬ বছর বয়সী জন অগবার্ন। গত ২৬ জুন নর্থ ক্যারোলিনার শার্লটের বাসার কাছে ল্যাপটপে কাজ করার সময় সাময়িকভাবে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় তার। পুলিশের জরুরি বিভাগের ৯১১ নাম্বারে ফোন করা হলে দুই কর্মকর্তা সেখানে আসেন। তিন সন্তানের জনক অগবার্নের বুকে চাপ দিয়ে দিয়ে অর্থাৎ সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসসিটেশন)এর মাধ্যমে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালান তারা। প্রায় ৪২ মিনিট ধরে চেষ্টা চালানোর পর অবশেষে স্পন্দন ফিরে পান অগবার্ন। এরপর অগবার্নকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে এক সপ্তাহের জন্য কোমায় পাঠিয়ে দেন। সেখানে নিবিড়ভাবে চিকিৎসা চলে তার। তাকে ছয় মাসের জন্য গাড়ি না চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দুই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে অগবার্ন
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে অগবার্ন জানান, তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করছেন। তবে বুকে হালকা ব্যথা রয়েছে এবং শক্তির মাত্রা কমেছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “আমার এনার্জি লেভেল আগে যেমন ছিল এখন আর সেরকম নেই। আমার রুটিন সামান্য পরিবর্তনের কারণে এটা হতে পারে।”

অগবার্ন জানান, কিভাবে জীবন ফিরে পেলেন তা ভাবতে অবাক লাগছে। তবে ৯১১ এ ফোনকারী ব্যক্তি এবং তাকে সহায়তা প্রদানকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

ইউনিভার্সিটি অব আলাবামার মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাইকেল কুর্জ বলেন, “নর্থ ক্যারোলিনার এ ঘটনা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর প্রাণে বেঁচে যাওয়ার ক্ষেত্রে সিপিআর-এর গুরুত্বকে সামনে এনেছে। তাৎক্ষণিক সিপিআর কার্ডিযাক অ্যারেস্ট থেকে বেঁচে যাওয়ার সুযোগ দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ বেড়ে যায়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হওয়ার পর জরুরিভাবে করণীয় কী তা বেশিরভাগ মার্কিন কর্মীই জানেন না আর এ ঘাটতি পাল্টানো প্রয়োজন।     

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর হাসপাতালের বাইরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্তদের সংখ্যা সাড়ে তিন লাখেরও বেশি। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালের বাইরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পর পেশাদার প্যারামেডিক পৌঁছানোর আগে অন্য কারও কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়া মানুষের সংখ্যা মাত্র ৪৬ শতাংশ। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট তখনই হয় যখন হৃদপিণ্ড রক্ত সঞ্চালন করা বন্ধ করে দেয়৷ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে আচমকা কারোর হৃদপিণ্ড কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং সেই ব্যক্তি নিঃশ্বাস নিতে পারেন না। আর কোনও কারণে যখন হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যায়, তখন সাময়িকভাবে হৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ কিছু সময় চালিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ করাকে বলে ‘কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন’ বা সিপিআর। অন্যভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম ভাবে হূৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ চালু রাখাকে সিপিআর বলে।

/এফইউ/

সম্পর্কিত
মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ১৮
নিউ ইয়র্কে দুই বাংলাদেশি হত্যায় সন্দেহভাজন যুবক গ্রেফতার
সৌদি আরব পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সর্বশেষ খবর
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
মাটি কাটার সময় ‘গরমে অসুস্থ হয়ে’ নারী শ্রমিকের মৃত্যু
মাটি কাটার সময় ‘গরমে অসুস্থ হয়ে’ নারী শ্রমিকের মৃত্যু
সাকিবের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাক্ষাৎ
সাকিবের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাক্ষাৎ
সর্বাধিক পঠিত
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়