X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শান্তি চুক্তির ২০ বছর পরও জমির জন্য আক্রান্ত হচ্ছেন আদিবাসীরা

বিদেশ ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:২৭আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৯

শান্তি চুক্তির ২০ বছর পরও জমির জন্য আক্রান্ত হচ্ছেন আদিবাসীরা সরকার পার্বত্য এলাকায় পাহাড়িদের জমি পুনরুদ্ধারে ২০ বছর আগে সম্পাদিত পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন পাহাড়ি অ্যাক্টিভিস্টরা। তারা বলছেন, এখনও ভূমির লড়াই অব্যাহত রাখতে হয়েছে পাহাড়িদের। পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী এবং জাতিগত বিদ্বেষের শিকার জনগোষ্ঠী আখ্যা দিয়ে অ্যাকটিভিস্টরা অভিযোগ করেন, তাদের ভূমির লড়াই থামেনি। নানা রকমের নাটক সাজিয়ে বাঙালি সেটেলাররা তাদের ভূমির ওপর দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ পাহাড়ি ওই জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী বলে মানতে নারাজ। সরকার মনে করে, দেশে কোনও আদিবাসী নেই। 

ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের অধীনে ওই এলাকাকে একটি সুরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভাজনের পর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিশেষ বিধানগুলো লঘু বা দুর্বল হয়ে পড়ে। একটি সশস্ত্র সংঘাতের পর, বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। ওই চুক্তি ভূমির ওপর পাহাড়িদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রদান করে।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তের ব্যাপ্তি ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। এ এলাকায় ডজনখানেক আদিবাসী গোষ্ঠীর প্রায় পাঁচ লাখ পাহাড়ির বসবাস।

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এ অঞ্চলটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। বিশেষ করে এখানকার কাঠ এবং বাঁশের কথা উল্লেখযোগ্য। এই এলাকায় তেল অনুসন্ধানের সম্ভাবনাগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখানে গত কয়েক দশক ধরেই সহিংস জাতিগত সংঘাতের দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে। এর ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ। তাদের ফেলে যাওয়া ভূমির দখল নেয় বাঙালি সেটেলাররা।

সরকার তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্পৃক্ততাসহ তাদের নিজস্ব প্রথা ও সংস্কৃতির স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

চলতি বছরের জুনের গোড়ার দিকে রাঙ্গামাটির মানিকজোড় ছড়া গ্রামে যখন আগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে সে সময় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন রিপন চাকমা’র অশীতিপর মা-বাবা। রিপন চাকমা’র মা-বাবা বেঁচে গেলেও গুনামালা চাকমা নামের এক বয়স্ক প্রতিবেশী মারা যান কাদামাটির তৈরি ঘরে জ্বালিয়ে দেওয়া আগুনে।

পুলিশ বলছে, রাঙ্গামাটর লংগদুতে বাঙ্গালি সেটেলাররা আদিবাসী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর দুই শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করেছে। চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে এখানেই সর্বোচ্চ সংখ্যক জাতিগত সংখ্যালঘুর বসবাস।

প্রতিবেশী জেলা খাগড়াছড়ি সংলগ্ন দিঘীনালা রোডের কাছে এক বাঙ্গালির মরদেহ পাওয়ার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের জন্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে অভিযুক্ত করেন বাঙ্গালি সেটেলাররা। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাহাড়িরা। তারা বলছেন, অগ্নিসংযোগ ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তাদের পাহাড় থেকে উচ্ছেদের ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে।

স্থানীয় বেসকারি সংস্থা তৃণমূল-এর নির্বাহি পরিচালক রিপন চাকমা বলেন, ‘এর সবাই সাজানো নাটক। ভূমি দখলের জন্যই এসব করা হচ্ছে। অন্যথ্যায় কেন তারা দীঘিনালার একটি মৃত্যুর জন্য লংগদুতে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে?’ সূত্র: রয়টার্স।

/এমপি/বিএ/
সম্পর্কিত
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
সর্বশেষ খবর
‘দাবদাহের মধ্যে কষ্ট হলেও মানুষ ভোট দিতে আসবে’
‘দাবদাহের মধ্যে কষ্ট হলেও মানুষ ভোট দিতে আসবে’
ইরফান খান: জীবনের মোড় ঘুরেছিল ২০০ রুপির অভাবে!
প্রয়াণ দিনে স্মরণইরফান খান: জীবনের মোড় ঘুরেছিল ২০০ রুপির অভাবে!
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার
ভুটানে আবার কোচ হয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ
ভুটানে আবার কোচ হয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড