সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এজন্য রাশিয়াকে প্রস্তুত থাকতেও বলেছেন তিনি। বুধবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘সিরিয়ার দিকে যেকোনও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া। তাহলে এবার প্রস্তুত থাকো। সিরিয়ার দিকে মিসাইল ধেয়ে আসছে। গ্যাস দিয়ে মানুষ হত্যা করা ‘জন্তুর’ সঙ্গে বন্ধুত্ব করা উচিত হয়নি তোমার।’
মার্চে রুশ সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমোভ বলেছিলেন, সিরিয়ার দিকে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করবেন তারা। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় হামলা চালালে তার দেশও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। এরপর মঙ্গলবার লেবাননে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার জাসিপকিন বলেছেন, সিরিয়ায় কোনও মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে তার দেশ সেটা প্রতিহত করবে। শুধু ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিতই নয়, যেখান থেকে ছোঁড়া হচ্ছে সেখানেও হামলা চালাবে রাশিয়া।
যু্ক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কড়া জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা তদন্তের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদে একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। হামলার অভিযোগ তদন্তে নিরাপত্তা পরিষদে নতুন একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠনের প্রস্তাব আনে উভয়পক্ষই। তবে উভয়েই তাদের বিপরীত পক্ষের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাব দুটির ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। রাশিয়ার আনা তৃতীয় একটি প্রস্তাবও এদিন আটকে যায়।
গত শনিবার (৭ এপ্রিল ) সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর দৌমাতে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যুক্তরাষ্ট্র ওই হামলার জন্য রাশিয়ার মিত্র সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারকে দায়ী করে। আর রাশিয়া ও সিরিয়া সরকার এজন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করে। ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আওতায় একটি বিশেষ প্যানেল গঠন করতে আলাদা দুটি প্রস্তাব নিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।
সূত্র: বিবিসি
