উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতার গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষরিত নথি নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এলেও বিস্তারিত কিছুই জানাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার চুক্তিস্বাক্ষর শেষে হোটেলে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হন ট্রাম্প ও কিম। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে পারস্পরিক সমঝোতার এক গুরুত্বপূর্ণ নথিতে স্বাক্ষর করেন দুই নেতা। তবে এখনও বিস্তারিত কিছু জানাননি। শুধু বলেছেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
হোটেলে সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের জন্য দারুণ একটা দিন ছিলো। দুই দেশ সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি।’ কিমের ব্যাপারে কি জেনেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি খুবই প্রতিভাবান মানুষ। আমি জানতে পেরেছি তিনি তার দেশকে অনেক ভালোবাসেন।’
১২ জুন, মঙ্গলবার সকালে কিমের সঙ্গে ৩৫ মিনিটের একান্ত বৈঠক শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে তার দেশ। ঐতিহাসিক বৈঠকের সাফল্য ও উন্নতিকে ধরে রাখতেই দুই নেতা এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন বলে জানান একজন মার্কিন কর্মকর্তাও। সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টে আগে তিনি এই চুক্তির বিস্তারিত কিছু বলতে চাচ্ছেন না। কিছুক্ষণ বাদে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের সামনে আবারও হাজির হন ট্রাম্প। বলেন, ‘আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছি। এর মধ্যে বিস্তারিত অনেক কিছুই আছে।’ ট্রাম্প জানিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।
এরপর দুই নেতা আবারও হ্যান্ডশেক করেন। বিদায়ের সময় ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আরও অনেকবার দেখা করবো।’
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছি। এর মধ্যে বিস্তারিত অনেক কিছুই আছে।’ এখনই না জানালেও পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে সবার সামনে উন্মুক্ত করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। আর কিম বলেন, তিনি সবকিছুর জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তার কৃতজ্ঞতা জানাতে চান। দোভাষীর সাহায্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ঐতিহাসিক বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। আমরা অতীতকে ভুলে যেতে চাই। আমরা ঐতিহাসিক এক নথিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি।’ কিম বলেন, ‘বিশ্ব অনেক বড় পরিবর্তন দেখতে যাচ্ছে।’
সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপে ক্যাপেলে হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা) একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা। সকালে বৈঠকের শুরুতে দুই দেশের পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে হাত মেলান ট্রাম্প-কিম। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ১২ সেকেন্ড ধরে হ্যান্ডশেক করেন তারা। কিমই প্রথম এসে ট্রাম্পের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, দারুণ বৈঠক হয়েছে। দুর্দান্ত সম্পর্কের সূচনা ঘটতে যাচ্ছে। দিনের শুরুতে এমন চুক্তি স্বাক্ষরের কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তবে মধ্যাহ্নভোজের আগে একটি দীর্ঘসময় বিরতির উল্লেখ ছিল। দুপুরের দিকেই হঠাৎ করে চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।