ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে দুটি পৃথক ভবন ধসে পড়ে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। এখনও আটকা পড়ে আছেন অনেক মানুষ। শতাধিক উদ্ধারকর্মী তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নয়দা শাহবেরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অরুণ কুমার সিং বলেন, পুরনো এই ভবনটিতে অন্তত তিনটি পরিবার বাস করতো। আরেকটি নির্মাণাধীন ভবনের ওপর ধসে পড়ে ভবনটি। তিনি বলেন, আমরা তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছি। কিন্তু ঠিক কতজন ভেতরে আটকা পড়ে আছেন তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার রাত থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় উদ্ধারকারী সংস্থা ও পুলিশ। কর্মকর্তারা জানান, ধ্বংসস্তূপ খালি করতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যাবে।
বুধবার পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মী অভিযানে অংশ নিয়েছেন। উদ্ধার অভিযানে ক্রেন ও ড্রিল মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। কুকুরের মাধ্যমে প্রাণের স্পন্দন খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে এখন পর্যন্ত এই ধসের কারণ জানা যায়নি। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান গঙ্গা শরন দিভেদির তিনজন কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। নয়দা পুলিশ কর্মকর্তা আভনিশ কুমার বলেন, দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভারতে প্রায়ই ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে বৃষ্টির মৌসুমে। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে ভবন তৈরি না করায় এ সময় কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে। চলতি বছর মে মাসে একটি ফ্লাইওভার ধসে পড়ে ১৮ জন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। এর আগে ২০১৩ সালে মুম্বাইয়ে এক ভবন ধসে অন্তত ৭২ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।