X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের চাপ উপেক্ষা করে ১১ উইঘুরকে মুক্তি দিয়েছে মালয়েশিয়া

বিদেশ ডেস্ক
১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৮আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৫৯

গত বছর থাইল্যান্ডের কারাগার ভেঙে পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের পর আটক হওয়া ১১ জন উইঘুর মুসলিমকে মুক্তি দিয়েছে মালয়েশিয়া। তাদের আইনজীবী ফাহমি মইনের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মানবিক বিবেচনায় প্রসিকিউটররা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিবাসন সংক্রান্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলে মঙ্গলবার কুয়ালালামপুর থেকে তুরস্কে  যায় তারা। চীনের আদিবাসী উইঘুর সম্প্রদায়ের এসব সদস্যকে মুক্তি না দিতে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়েছিল বেইজিং। মালয়েশিয়ার এই সিদ্ধান্তে চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের চাপ উপেক্ষা করে ১১ উইঘুরকে মুক্তি দিয়েছে মালয়েশিয়া
২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে আটক হয় ২০০ উইঘুর মুসলিম। তাদের মধ্যে শতাধিকজনকে জোর করে ২০১৫ সালে জুলাইতে চীনে পাঠিয়ে দিলে বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে।  তবে থাইল্যান্ডের কারাগারের দেয়ালে গর্ত করে কম্বলকে মই বানিয়ে পালিয়ে তাদের মধ্যে ১১ উইঘুর মুসলিম সীমান্ত অতিক্রম করে মালয়েশিয়া পৌঁছায়। চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের প্রশাসন তাদের আটক করে। গত ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এসব উইঘুরকে ফিরিয়ে দিতে চীনের প্রবল চাপের মুখে রয়েছে মালয়েশিয়া। কয়েকটি পশ্চিমা দেশ অবশ্য তাদের ফিরিয়ে না দিতে অনুরোধ জানিয়েছিল।

গত মে মাসে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফেরার পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ চীনের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আগের প্রশাসনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রজেক্ট বাতিল করেছে। চীনের জিনজিয়াংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে উইঘুর মুসলিমদের ওপর দমনাভিযান চালানোর জন্য বেইজিংকে অভিযুক্ত করে থাকে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।

রয়টার্সকে এসব উইঘুরের আইনজীবী ফাহমি মইন বলেন, ‘আমাদের পক্ষের আবেদনের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় একমত হওয়ায় তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে’। তবে মালয়েশিয়া অভিবাসন দফতর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে এসব উইঘুরের মুক্তির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।

বেইজিংয়ের সরকার বরাবরই উইঘুরদের বিরুদ্ধে জিনজিয়াংয়ের সংখ্যাগুরুদের বিরুদ্ধে হামলার জন্য দায়ী করে থাকে। চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি উইঘুরদের আটক করে নির্যাতন এবং তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ওপরও চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। তবে বেইজিং এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

জাতিসংঘ বলছে, জিনজিয়াংয়ের প্রায় ১০ লাখ মুসলিমকে তথাকথিত ‘পুনঃশিক্ষা কেন্দ্রে’ আটক রাখা হয়েছে। উইঘুররা দাবি করছেন, তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আদিবাসী পরিচয় মুছে চীনা হিসেবে পরিচিত করানোর লক্ষ্যেই এসব ‘পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র’ বানানো হয়েছে।

/জেজে/এমওএফ/
সম্পর্কিত
তাইওয়ানের কাছাকাছি আবারও সামরিক কার্যকলাপ চালালো চীন
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
সর্বশেষ খবর
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ