X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পানমুনজাম থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে অস্ত্র ও সীমান্তরক্ষী

বিদেশ ডেস্ক
২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:০০আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:০৩

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী সেনামুক্ত অঞ্চল পানমুনজামের গ্রাম থেকে অস্ত্র ও সীমান্তরক্ষী সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে দুই কোরিয়া ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ কমান্ড। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পানমুনজাম থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে  অস্ত্র ও সীমান্তরক্ষী উত্তর কোরিয়া ১৯৫০-৫৩ সালের পর থেকে এই সেদিন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধাবস্থায় ছিল। কারণ সেই যুদ্ধ বন্ধে শুধু অস্ত্রবিরতি চুক্তি করা হয়েছিল। সম্প্রতি দুই কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তিচুক্তি করেছে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রচারণা চালানোর জন্য দুই পক্ষ সীমান্তে একে অপরের দিকে লক্ষ্য করে যে মাইক লাগিয়ে রেখেছিল তা তারা খুলে ফেলেছে এ বছরের ২৭ এপ্রিল। যুদ্ধের কারণে পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সদস্যদের তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার বিষয়েও দুই কোরিয়া এক সঙ্গে কাজ করছে। এমন একটি আয়োজন হয়েছিল গত ২০ আগস্ট।

সিউল থেকে জানানো হয়, সোমবার আলোচনার পর তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে যৌথ নিরাপত্তা অঞ্চল থেকে অস্ত্র ও নিরাপত্তা চৌঁকি সরিয়ে নেওয়া হবে। এই অঞ্চলটি পানমুনজমের শান্তি গ্রাম হিসেবেও পরিচিত। ২৫০ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে এখানে দুই দেশের সেনারা মুখোমুখি অবস্থান করতো। চলতি মাসের শুরুর দিকে এখান থেকে স্থলমাইন সরিয়ে নিতে শুরু করে দুই দেশ।

সোমবার জেএসএ কমিশনের দ্বিতীয় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেয় দুই কোরিয়া ও জাতিসংঘ কমান্ড। জেএসএ’র দক্ষিণাঞ্চলের অর্ধেক অঞ্চলই কমান্ডের আওতাধীন। গত আগস্টে কমান্ডের প্রধান মার্কিন জেনারেল ভিনসেন্ট ব্রুকস বলেছিলেন, সামরিক উত্তেজনা কমাতে পদক্ষেপের সমর্থন করেন তিনি। 

 

গত ডিসেম্বরে এই স্থানেই উত্তর কোরীয় এক সেনা নিজ বাহিনীর গুলিতে আহত হয়। দক্ষিণ কোরীয় কমান্ডোরা সাহসী উদ্ধার অভিযানও চালিয়েছিলো। ১৯৭৬ সালে একবার কুড়াল দিয়ে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে এখানে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরীয় সেনাদের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যায়। সেখানে দুই মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিলেন। একে ‘এক্স মার্ডার ইনসিডেন্ট’ বলা হয়।  

 

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
সর্বশেষ খবর
টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি প্রণয়ন
টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি প্রণয়ন
গ্রিনপিন সেবা চালু করলো এনসিসি ব্যাংক
গ্রিনপিন সেবা চালু করলো এনসিসি ব্যাংক
রাজনৈতিক সংশয়ের মুখোমুখি নেতানিয়াহু
গাজায় যুদ্ধবিরতি নাকি রাফাহতে হামলারাজনৈতিক সংশয়ের মুখোমুখি নেতানিয়াহু
‘জেসির অভিজ্ঞতা বড় ম্যাচে আম্পায়ারিং করার মতো নয়’
‘জেসির অভিজ্ঞতা বড় ম্যাচে আম্পায়ারিং করার মতো নয়’
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?