ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় সংশ্লিষ্ট বেসামরিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিশ্বজুড়ে ফ্লাইট বিড়ম্বনা শুরু হয়েছে। হাজার হাজার ফ্লাইটের সময় বিভ্রাট চলছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভারতের‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় বাহিনীটির অন্তত ৪০ জন সদস্য প্রাণ হারান। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় বিমানবাহিনী ৭১-পরবর্তী ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের আকাশসীমায় ঢুকে বিমান হামলা চালানোর পর জানায়, জইশ-ই মোহাম্মদের ঘাঁটি ধ্বংসের উদ্দেশ্যেই তারা ওই ‘অসামরিক অভিযান’ পরিচালনা করেছে। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে এক পাইলটকে আটকের দাবি করে পাকিস্তান। বিপরীতে ভারতও পাকিস্তানের একটি ফাইটার জেট ভূপাতিত করার দাবি করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ ছিলো। দেশটি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
সিএনএন জানায়, এতে হাজার হাজার মানুষ বিড়ম্বনায় পড়েছেন। শুধু পাকিস্তানে যাওয়া-আসা করা যাত্রীরাই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হওয়ায় আরও অনেক দেশের যাত্রীরাই এখন দুর্ভোগে।
থাই এয়ারওয়েজ জানায়, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারির সকল ইউরোপগামী ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ব্যাংকক থেকে লন্ডন, মিউনিখ, প্যারিস, ব্রাসেল, মিলান, ভিয়েনা, স্টকহোম, জুরিখ, কোপেনহেগেন ও অসলোগামী কোনও বিমান যাত্রা শুরু করতে পারেনি।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ঘোষণা দিয়েছে, সিঙ্গাপুর থেকে লন্ডনগামী কিছু ফ্লাইট দুবাইয়ের যাত্রাবিরতি করবে। অন্যদিকে ভারতীয় বেশ কিছু এয়ারলাইন্সও ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে।
এভিয়েশন বিশ্লেষক জফরি থমাস বলেন, এই পরিস্থিতিতে এয়ারলাইন্সগুলো লাখ লাখ ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, এটা অনেক বড় করিডর, আর আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হিমালয় না পেরিয়ে উত্তরে যেতে পারবেন না আপনি। তাই এটা বন্ধ করা ঠিক হয়নি।