X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

হংকংয়ে বিতর্কিত আইন চালু করছে চীন, স্বায়ত্তশাসন খর্বের আশঙ্কা

বিদেশ ডেস্ক
২২ মে ২০২০, ১৮:৩৪আপডেট : ২২ মে ২০২০, ১৮:৩৪

স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। এই আইনে দেশদ্রোহিতা, বিচ্ছিন্নতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর অধীনে হংকংয়ের আইন প্রণেতাদের বাদ দিয়েই এসব অপরাধে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার সুযোগ পাবে চীনা কর্তৃপক্ষ। এতে স্বায়ত্তশাসন খর্বের আশঙ্কায় বিক্ষোভ শুরু করেছে হংকংয়ের বাসিন্দারা। শুক্রবার অঞ্চলটিতে চীনের লিয়াঁজো অফিসের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। শুক্রবার হংকংয়ে চীনের লিয়াঁজো অফিসের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছে

১৫০ বছর ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার পর লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই হংকং চীনের কাছে ফেরত দেয় যুক্তরাজ্য। তখন থেকে বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হংকংকে ২০৪৭ সাল অবধি স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে চীন। এই সময়ে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতি বাদে অন্য সব বিষয়ে স্বায়ত্তশাসন ভোগ করতে পারবে অঞ্চলটি। তবে গত বছর অঞ্চলটিতে ব্যাপক বিক্ষোভের নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে চীন।

শুক্রবার হংকং বিষয়ক নিরাপত্তা আইনের খসড়া চীনের বার্ষিক ন্যাশনাল পিউপিল’স কংগ্রেসে (এনপিসি) উপস্থাপন করা হয়েছে। দেশটির কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দের নেওয়া সিদ্ধান্ত এই কংগ্রেসের মাধ্যমে অনুমোদন করে নেওয়া হয়। আইনটি বাস্তবায়নে বেইজিংকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে হংকং সরকার। তাদের দাবি এই আইনের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটির স্বাধীনতায় ব্যাঘাত ঘটবে না।

চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে পরিচালিত হয় হংকং। ‘এক দেশ, দুই নীতি’ নামের একটি ব্যবস্থার অধীনে অঞ্চলটির বাসিন্দারা ব্যাপক স্বাধীনতা ভোগ করে, যা দেশটির অন্যান্য অংশের বাসিন্দা পায় না। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের আশঙ্কা নতুন আইনের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা খর্ব করা হতে পারে। গণতন্ত্রপন্থী কর্মী জিমি শ্যাম বলেন, ‘হংকং ধ্বংস করতে পারস্পারিক সম্মতির ভিত্তিতে ব্যবহার হওয়া সবচেয়ে বড় পারমাণবিক অস্ত্র এটা’।

উল্লেখ্য, গত বছর হংকংয়ের বেইজিংপন্থী শাসকদের প্রস্তাবিত একটি বিলে সন্দেহভাজন অপরাধীকে চীন ও তাইওয়ানে ফেরত পাঠানোর পথ সুগম করা হয়। তবে বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কাউকে ফেরত পাঠানো নিরাপদ মনে করে না হংকংয়ের সাধারণ মানুষ। তারা মনে করেন, বিলটি পাস হলে তা হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে। সেখান থেকেই বিক্ষোভ শুরু হলে পরে ওই বিলটি বাতিলে বাধ্য হয় হংকংয়ের শাসকেরা।

/জেজে/
সম্পর্কিত
ডব্লিউএইচও এর সম্মেলনে যোগদানের বিষয়ে যা বললো তাইওয়ান
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
হংকংয়ে টানা ১০ হাজার বজ্রাঘাত
সর্বশেষ খবর
উচ্চশিক্ষা খাতকে ডিজিটালাইজেশনে আনার পরামর্শ ইউজিসির
উচ্চশিক্ষা খাতকে ডিজিটালাইজেশনে আনার পরামর্শ ইউজিসির
বিটুমিন গলে যাওয়া মহাসড়ক পরিদর্শনে দুদক
বিটুমিন গলে যাওয়া মহাসড়ক পরিদর্শনে দুদক
মিয়ানমারের ৩৮ শরণার্থীকে ফেরত পাঠালো ভারত
মিয়ানমারের ৩৮ শরণার্থীকে ফেরত পাঠালো ভারত
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি