ভারতের রাজধানী দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎ এবং দমকা হাওয়ার কারণে তীব্র জলজটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। রবিবার (২৫ মে) ভোরে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যায়, গাছ উপড়ে পড়ে এবং বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোতি বাগ, মিন্টো রোড এবং দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১-সংলগ্ন এলাকায় তীব্র জলজট দেখা যায়।
৪০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া বইতে থাকায় দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিমান চলাচলে প্রভাব পড়ে। ভোর ৩টা ৫৯ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে ইন্ডিগো জানায়, দিল্লিতে খারাপ আবহাওয়ার প্রভাবে সাময়িকভাবে বিমান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে দু’ঘণ্টা পর, সংস্থাটি জানায় বিমান পরিষেবা আবার স্বাভাবিক হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ছাড়তে থাকা বিমানগুলোর গড় বিলম্ব ছিল ৪৬ মিনিট। সেই সময় দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তরাখণ্ড ও হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকাতেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
এর আগেই ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোকে লাল সতর্কতা জারি করে। সেই সঙ্গে নাগরিকদের খোলা জায়গায় না যেতে, গাছের নিচে আশ্রয় না নিতে, দুর্বল দেয়াল ও অস্থিতিশীল কাঠামো থেকে দূরে থাকতে এবং জলাশয়ের কাছাকাছি না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
হঠাৎ এই বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণ হিসেবে মৌসুমি বায়ুর আগাম আগমনকে মনে করা হচ্ছে। এবার স্বাভাবিক সময়ের এক সপ্তাহ আগেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ভারতের মূল ভূখণ্ডে, কেরালায় পৌঁছায়। ২০০৯ সালের পর এত তাড়াতাড়ি মৌসুমি বায়ুর আগমন এই প্রথম। সাধারণত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ১ জুন কেরালায় প্রবেশ করে এবং ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সারা দেশকে আচ্ছাদিত করে। এটি ১৭ সেপ্টেম্বরের পর উত্তরপশ্চিম ভারত থেকে বিদায় নিতে শুরু করে এবং ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বিদায় নেয়।