বগুড়ার শিবগঞ্জে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির বাসের চাপায় দাদি ও শিশু নাতি নিহত হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার মহাস্থান এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইওয়ে পুলিশ কুন্দারহাটের উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন জানান, রংপুরগামী নাবিল পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সিরোটি গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের স্ত্রী মছিরন বেওয়া (৬৫) ও তার নাতি বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থান জাদুঘর মাস্টারপাড়ার দিনমজুর সাইদুল আলমের ছেলে নূর আলম (১১)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত মছিরন বেওয়া মহাস্থান জাদুঘর মাস্টারপাড়ার ছেলে সাইদুল আলমের বাড়িতে বসবাস করেন। তিনি মহাস্থানে গাইবান্ধা নামে একটি হোটেলে কাজ করতেন। শনিবার এলাকায় একটি মজলিসের আয়োজন করা হয়। সেখানে দাওয়াত খেয়ে মছিরন বেওয়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নাতি নূর আলমকে সঙ্গে নিয়ে মহাস্থান নামাপাড়া এলাকার মেয়ের বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মহাস্থান ওভারব্রিজের উত্তর পাশে মহাসড়ক পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় রংপুরগামী নাবিল পরিবহনের একটি দ্রুতগতির বাস তাদের চাপা দেয়। এতে মাথা থেঁতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই শিশু নূর আলমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত দাদি মছিরন বেওয়াকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চালক ও হেলপার বাস ফেলে পালিয়ে যান। হাইওয়ে পুলিশ কুন্দারহাট থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন ঘটনাস্থলে এসে বাসটি জব্দ ও মরদেহ দুটি উদ্ধার করেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, শনিবার রাত ১২টার দিকে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় পরিবহন দুর্ঘটনা আইনে মামলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কে ওভারব্রিজ থাকার পরও পথচারীদের মহাসড়ক পারাপারে সতর্কতা অবলম্বন না করায় ও বাসের দ্রুতগতির কারণে প্রায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মতামত প্রকাশ করেছেন তারা।