X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

১২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকটে সিডনি

বিদেশ ডেস্ক
১২ জুলাই ২০২১, ১৭:১৮আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ১৮:৪১

করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো ও টিকা নিতে নিজ নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করতে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছে স্কট মরিসন সরকার। করোনায় ধুঁকতে থাকা এক নারীকে অক্সিজেন দেওয়ার পরও শ্বাস নিতে লড়াই করতে দেখা গেছে। এমন বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। অস্ট্রেলিয়ার ঘনবসতি সিডনি ও কয়েকটি রাজ্য করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ১২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকটে পড়েছে সিডনি।  

সিডনিতে গত সোমবার ১১২ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন, যা আগের দিনের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি। সংক্রমণের দিক দিয়ে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা এই শহরটি। নিউজ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান বলেন, ‘মানুষ কিছুদিনের জন্য ঘরে থাকলে ভাইরাস ছড়ানো সম্ভব না। এজন্য সাধারণ মানুষকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি’।

অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহরটিতে গত এপ্রিলের পর এই প্রথম একজন কোভিডে মারা গেছেন। ডেল্টার প্রকোপের কারণে গত মধ্য জুন থেকে লকডাউনে রয়েছেন প্রায় ৬০ লাখ মানুষ। 

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণকে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ভ্যাকসিন নীতিকে দায়ী করছেন অনেকে। কোভিডের চূড়ান্ত সময়েও দেশজুড়ে পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারেনি তার সরকার। এজন্য বিরোধীদলগুলো মরিসনকেই দুষছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ-এর ভ্যাকসিন ট্র্যাকার বলছে, অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার তুলনায় মাত্র ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র ৫২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষকে টিকা নিয়েছে।

সোমবার এক সাক্ষাৎকারে ইউনিভার্সটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস-এর অধ্যাপক বিল বাউটেন বলেন, 'সিডনি গুরুতর সংকটের মুখোমুখি, যা কিনা গত ১২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ স্বাস্থ্য সংকটে পড়েছে। বিধিনিষিধের সময় মানুষকে ঘরে থাকাটা প্রয়োজন। কারণ লকডাউন থেকে দ্রুত বের হতে চাইলে, এছাড়া উপায় নেই। গত বছরে মেলবোর্নকে বিশ্বের দীর্ঘতম লকডাউনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।  

এদিকে অর্থনীতিবীদ শেন অলিভার বলেন, 'দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যখন বিধিনিষেধ মেনে চলবে তখন সংক্রমণও কমে আসবে। ফলে লকডাউনের প্রয়োজন হবে না'।

পুরো অস্ট্রেলিয়াতেই ভারতীয় করোনার অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে নতুন নতুন রোগী। বিশেজ্ঞদের মতে, সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে হলে নাগরিকদের টিকার আওতায় আনতে হবে।

/এলকে/
সম্পর্কিত
অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা পড়েছে শতাধিক পাইলট তিমি
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ
অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করলো রাশিয়া
সর্বশেষ খবর
স্যামসন-জুরেলের ব্যাটে লখনউকে সহজে হারালো রাজস্থান
স্যামসন-জুরেলের ব্যাটে লখনউকে সহজে হারালো রাজস্থান
মুগদায় তীব্র গরমে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃত্যু
মুগদায় তীব্র গরমে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃত্যু
কাপ্তাই হ্রদে নাব্য সংকট, ৫ উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ
কাপ্তাই হ্রদে নাব্য সংকট, ৫ উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ
কলকাতা স্টেশনে অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি
কলকাতা স্টেশনে অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু