এক দল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, নগরে প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকলে একাকিত্বের অনুভূতি কমে। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম উদ্বেগের কারণ একাকিত্ব। এতে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ বেড়ে যায়- যা বায়ু দূষণ, বিষণ্নতা এবং অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকির চেয়ে বেশি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, একাকিত্বের ওপর পরিবেশের প্রভাব নিয়ে পরিচালিত গবেষণা এটাই প্রথম। স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম তথ্য সংগ্রহ করে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ভীড়ের মধ্যে একাকিত্ব বেড়ে যায় গড়ে ৩৯ শতাংশ। কিন্তু মানুষ যখন গাছ কিংবা আকাশ দেখতে পায়, পাখির শব্দ শোনে তখন একাকিত্বের অনুভূতি নেমে যায় ২৮ শতাংশে। সামাজিক অন্তর্ভূক্তিও একাকিত্ব ২১ শতাংশ কমিয়ে দেয়। কিন্তু যখন এসবের সঙ্গে প্রকৃতির সংস্পর্শ যোগ হয় তখন ভালো লাগার অনুভূতি আরও ১৮ শতাংশ বেড়ে যায়।
গবেষকেরা বলছেন, ‘সামাজিক অন্তর্ভূক্তি এবং প্রকৃতির সংস্পর্শ বাড়াতে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা দরকার, বিশেষ করে ঘন বসতির নগরগুলোতে।’
প্রকৃতিতে সময় কাটানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জঙ্গলে হাটার কারণে যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার খরচ অন্তত ১৮ কোটি ৫০ লাখ ইউরো কমে যায়। গবেষকেরা বলছেন, শহরের প্রাকৃতিক স্থানগুলো একাকিত্ব কমাতে পারে। এতে মানুষের সম্পৃক্ত হওয়ার অনুভূতি বাড়বে কিংবা আরও বেশি সামাজিক হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।