ফ্রান্সের একটি সিনাগগে (ইহুদি উপাসনালয়) হামলার সন্দেহভাজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন পুলিশের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে বলেছেন, অভিযুক্তকে শনিবার (২৪ আগস্ট) আটক করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
শনিবার সকালে স্থানীয় সময় ৮টা থেকে ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে লা গ্রান্দে মোত্তে রিসোর্টের বেথ ইয়াকভ সিনাগগ প্রাঙ্গনে এক বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। সেসময় র্যাবাইসহ (ধর্মযাজক) ৫ ব্যক্তি ভেতরে অবস্থান করছিলেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলায় জড়িত এক সন্দেহভাজনকে নিমে শহর থেকে আটক করা হয়। গ্রেফতার করতে আসা পুলিশের ওপর গুলি চালালে পাল্টা গুলিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি আহত হন।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে এই বিস্ফোরণ ঘটে। গাড়িগুলোয় লুকানো কুঠুরিতে গ্যাস রাখা ছিল।
এছড়া,আতককৃত ব্যক্তিকে উপাসনালয়ের কয়েকটি প্রবেশদ্বারে আগুন ধরিয়ে দিতে দেখা যায়।
ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতা ইয়োনাথান আরফি বলেছেন, এটি ছিল ইহুদিদের হত্যার একটি প্রচেষ্টা।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘটনাটিকে একটি ‘সন্ত্রাসী কাজ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
দেশের ইহুদি উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ফ্রান্সের ইহুদি সম্প্রদায় এমনিই বাড়তি নিরাপত্তা পেয়ে থাকে। অনেক সিনাগগ ও ইহুদি বিদ্যালয়ে পুলিশ সুরক্ষা আছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটির ইহুদি প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিষদ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, ফ্রান্সে বিগত দুই বছরে ইহুদি-বিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউরোপজুড়ে ক্রমবর্ধমান ইহুদি-বিদ্বেষের মধ্যেই সর্বশেষ হামলার ঘটনাটি সামনে এলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মৌলিক অধিকার সংস্থা গত মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইইউভুক্ত ১৩টি দেশের আট হাজার ইহুদির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জরিপ চালানো হয়। দৈনন্দিন জীবনে ইহুদি বিদ্বেষের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন ৯৬ শতাংশ ব্যক্তি।