কিয়েভে টানা দ্বিতীয়বারের মতো গভীররাতে কয়েকদফায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা সোমবার (২১ অক্টোবর) বলেছেন, হামলায় একাধিক আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত ও অন্তত একজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হেই পোপকো জানিয়েছেন, ‘আশঙ্কাময় আরেকটি রাত। শত্রুপক্ষের দিক থেকে ইউক্রেন আর কিয়েভের ওপর বিমান হামলার তীব্রতা হ্রাসের কোনও লক্ষণ নেই।’
তিনি আরও বলেছেন, কয়েকদফায় অন্তত ১০টি ড্রোন বিভিন্নদিক থেকে রাজধানীতে হামলা চালায়। সেগুলোকে অবশ্য প্রতিহত করা হয়েছে। শত্রুপক্ষের অস্ত্র কোনও লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি আঘাত করতে সমর্থ না হলেও, ছিটকে পড়া ধ্বংসাবশেষের আঘাতে অন্তত এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় ভোররাত ৪টা ১৫ তে ইউক্রেনের আকাশসীমাকে নিরাপদ ঘোষণা করে দেশটির বিমানবাহিনী। তার আগ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিমান হামলার সতর্ক সংকেত জারি ছিলো।
মেয়র ভিটালি ক্লিটশকো টেলিগ্রামে বলেছেন, কিয়েভের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ধ্বংসাবশেষের আঘাতে কয়েকটি আবাসিক ভবনের ছাদ, প্রবেশদ্বার ও বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে, কিয়েভ ও আশেপাশের শহরে রবিবার বিমান হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। ওই হামলায় রাজধানীর অন্তত ১৭ জন নাগরিক আহত হয়েছিলেন।
এদিকে, দেশটির পুলিশ সংস্থা টেলিগ্রামে জানিয়েছে, রুশ সীমান্তবর্তী খারকিভ অঞ্চলে গভীররাতে সুনির্দিষ্ট বোমা হামলা চালায় রাশিয়া। হামলায় অন্তত ১২ জন আহত ও একাধিক আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলার সব তথ্য পুরোপুরি যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
মস্কোর পক্ষ থেকে হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
প্রায় আড়াই বছর ধরে চলা যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক ও লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়েই। যদিও বরাবরই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য পরস্পরকের দায়ী করে বিবৃতি দিয়ে আসছে তারা।