যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানবোধের ভিত্তিতে সক্রিয় সংলাপ চালানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে আগ্রহী চীন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এই মন্তব্য করেছেন দেশটির ভাইস মিনিস্টার অব কমার্স ওয়াং শোওয়েন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং বলেছেন, বহির্বিশ্বের চাপ সামলানো ও প্রতিহত করার সক্ষমতা চীনের আছে। তবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একটি স্থিতিশীল, বন্ধুত্বপূর্ণ ও টেকসই অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্ক নীতির প্রভাব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ ও মতপার্থক্য নিরসনে প্রস্তুত।
চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে ইতোমধ্যেই কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন চীনা উৎপাদকরা । অনেকে কারখানা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে সরিয়ে নিয়েছেন।
রয়টার্সের এক জরিপে অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, আগামী বছর চীনা পণ্যের ওপর প্রায় ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারে মার্কিন প্রশাসন। ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার চীনা কর্তৃপক্ষ বিদেশি বাণিজ্য বাড়াতে একটি নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা জোরদার করা ও কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের আগের মেয়াদের বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রভাব এখনও অনেকটা রয়ে গেছে। সেবার ১৮ মাস ইউয়ানের মান ১০ শতাংশ বাড়লেও শুল্ক আরোপ ও মহামারির কারণে এটি প্রায় ১২ শতাংশ কমে যায়।
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা লিউ ইয়ে বলেছেন, আমাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ধারণা করা হচ্ছে ইউয়ানের বিনিময় হার একটি যুক্তিসংগত ও ভারসাম্যপূর্ণ পর্যায়ে স্থিতিশীল থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ইউয়ানের মান বজায় রাখতে ও বাজারে একপাক্ষিকতা গঠিত হওয়া ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে যাবে।
এছাড়া, মুদ্রা বিনিময় মান অতিরিক্ত ওঠানামা ঠেকাতে ও ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে, ডলার সঞ্চয়ে আরও মনোযোগ দিচ্ছে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো। রয়টার্স জানিয়েছে, বহুবিধ উদ্যোগ মুদ্রা ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য সহায়ক হতে পারে।