মার্কিন সহায়তা স্থগিতকরণে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সেখানে কর্মরত এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা ব্রুনো লেমারকুইস জানিয়েছেন, গত বছরও দেশটিতে ৭০ শতাংশ সহায়তা ওয়াশিংটন থেকে আসতো। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কঙ্গোর রাজধানী শহর কিনশাসা থেকে ভিডিও কলে তিনি বলেছেন, আগের বছর কঙ্গোর জন্য সহায়তা কর্মসূচিতে প্রায় ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার এসেছিল। এর প্রায় ৯১০ কোটিই এসেছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে সব বৈদেশিক সহায়তায় স্থগিত আদেশ দেওয়ার পর কঙ্গোর বেশ কিছু কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় দশকব্যাপী সংঘাতে জর্জরিত দেশটিতে সম্প্রতি সহিংসতার মাত্রা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সীমান্ত সংঘাতের আশঙ্কা বৃদ্ধির পাশাপাশি হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এরমধ্যেই মার্কিন পদক্ষেপে নতুন সংকট তৈরি হলো।
লেমারকুইস বলেছেন, মার্কিন তহবিলের ওপর আমরা প্রচণ্ডভাবে নির্ভরশীল ছিলাম। ফলে সহায়তা স্থগিত হওয়ায় স্বাস্থ্য ও আবাসনে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন সিদ্ধান্তের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও তাদের কাজ চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে।তবে এত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমরা এখানে অবস্থান করে কাজ করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
অবশ্য সম্প্রতি কিছু কর্মসূচি আবার চালুর অনুমতি পেতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০ জানুয়ারি অভিষেকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৯০ দিনের জন্য সব বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের আদেশ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার ভিশনের সঙ্গে এসব সহায়তার কোনও সংঘাত আছে কিনা, তা যাচাই করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বৈশ্বিক সহায়তার সর্বোচ্চ দাতা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সহায়তা কমানো এবং নতুনভাবে গঠন করার প্রচেষ্টার বিস্তারিত না থাকায় সহায়তা সংস্থাগুলোর মধ্যে বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সহায়তার নিশ্চয়তা না পেয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া নিয়ে তারা আর্থিক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মানবিক কর্মকর্তারা।